টানা চার মেয়াদে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে দায়ীত্ব পালন করে আসেছিলেন তর্কাতীতভাবে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম সুপারস্টার কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দীন। আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনেও অংশ নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে আর নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা জানান স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই সদস্য।
নির্বাচনে কাজী সালাউদ্দিনের অংশ না নেয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক হলেও এটিকে পারিবারিক বলেই জানিয়েছেন দেশের বাংলাদেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় এই তারকা। কিন্তু প্রশাসক হিসেবে তার ব্যর্থতা বার বারই সামনে এসেছে। এসেছে দুর্নীতির খবও। ফিফার শাস্তির মুখে পড়েছেন বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক। জরিমানা গুণতে হয়েছে পদত্যাগ করা সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে।
টানা চার বার বাফুফে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত সালাউদ্দিন এবারও নির্বাচনের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। সবার আগে কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবী তোলে ‘বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস’ নামে সমর্থকদের একটি সংগঠন।
বিষয়টিকে শুরুতে আমলেই নেননি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাফুফে ও সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন, সাফ এর সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। কিন্তু তার পদত্যাগের দাবী ক্রমেই জোরালো হতে থাকে। সাবেক নারী ফুটবলাররাও কাজী সালাউদ্দিনের সাথে নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন ও বাফুফে সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণের পদত্যাগের দাবীতে সোচ্চার হয়।
