খেলা ছিল না বায়ার্ন মিউনিখের। তবে লেভারকুসেন ও ফ্রেইবুর্গের ম্যাচে পাখির চোখ করে রেখেছিল বায়ার্ন মিউনিখের সমর্থকরা। কেননা লেভারকুসেন পয়েন্ট হারালে বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে। নাটকীয়ভাবে বায়ার্ন সমর্থকদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। ফ্রেইবুর্গের সঙ্গে তারা ২-২ গোলে ড্র করেছে। আর এতেই বায়ার্নের রেকর্ড ৩৩তম শিরোপা জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। সে সঙ্গে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো শিরোপা জয়ের স্বাদ পান বায়ার্নের হ্যারি কেন।
আগের দিন বায়ার্নের উৎসব করার সব আয়োজন প্রস্তুত ছিল। কিন্তু আরবি লিপজিগ শেষ সময়ে সমতায় এনে বায়ার্নের উৎসব পিছিয়ে দেয়। তবে একদিনের বেশি সেই অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হয়নি।
ফ্রেইবুর্গ ম্যাচের শুরু থেকেই বায়ার্নের সমর্থকদের আনন্দে ভাসিয়ে দিয়েছিল। কেননা প্রথমার্ধে দলটি ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বায়ার্ন সমর্থকদের আনন্দকে থমকে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল লেভারকুসেন। ৮২ মিনিটে ব্যবধান কমানো গোলের পর ৯৩ মিনিটে সমতাসূচক গোল করে লেভারকুসেন। এরপর আর গোলের দেখা পায়নি তারা। ফলে বায়ার্নের শিরোপা উৎসবে আর কোনো সমস্যা হয়নি।
১৯৬৩ সালে বুন্দেসলিগা চালু হওয়ার পর এবার নিয়ে বায়ার্ন ৩৩ বার শিরোপা জয় করলো। শিরোপা সংখ্যায় তাদের ধারে কাছে কেউ নেই। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের শিরোপা সংখ্যা মাত্র ৫।
