১৬ ম্যাচ ধরে অজেয় থাকা বায়ার্ন মিউনিখ এর ছুটে চলা জয়রথ থামল অবশেষে বার্লিনে। ইনজুরি টাইমে হ্যারি কেইনের দারুণ হেডে হার এড়ালেও ইউনিয়ন বার্লিনের বিপক্ষে ২-২ গোলে থেমে যেতে হলো ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যদের। এতে হাতছাড়া হলো গার্দিওলার রেকর্ড টানা জয়ের কীর্তি ছোঁয়ার সুযোগও।
ম্যাচের শুরু থেকেই উল্টোচাপের মুখে পড়ে বায়ার্ন। স্বাগতিক ইউনিয়ন বার্লিন হাই প্রেসে চেপে ধরে রক্ষণে অস্থিরতা তৈরি করে দেয়। ২৭ মিনিটে সেই চাপই কাজে লাগে। কর্নার থেকে দানিলো ডোকির দুর্দান্ত ভলিতে নয়্যারের হাত ফসকে বল জালে জড়ায়, এগিয়ে যায় বার্লিন।
পিছিয়ে পড়া বাভারিয়ানদের হয়ে আশার আলো দেখান লুইস দিয়াজ। ৩৮ মিনিটে অসম্ভব এক কোণ থেকে বাঁ পায়ের ফিনিশে সমতায় ফেরান কলম্বিয়ান তারকা। এরপর বিরতির আগে আরও দুটো সুযোগ তৈরি হয়। একবার পোস্টের বাইরে, অন্যবার অফসাইডে ফেরে কেইনের প্রচেষ্টা।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় কিছুটা ভারসাম্য ফেরে। বায়ার্ন বলের দখল রাখলেও স্পষ্ট সুযোগ তৈরি করতে হিমশিম খায়, অন্যদিকে বার্লিন অপেক্ষা করে পাল্টা আক্রমণের। অবশেষে ৮৩ মিনিটে আসে তাদের কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। ওলিসের ফাউলে পাওয়া ফ্রি-কিক থেকে তৈরি হয় হট্টগোল, কেইনের ক্লিয়ার করা বল পেয়ে আবারও জালে ঠেলে দেন ডোকি। স্কোরলাইন ২-১, উল্লাসে মাতোয়ারা বার্লিন স্টেডিয়াম।
কিন্তু বায়ার্নকে শেষ মুহূর্তে থামানো গেল না। ইনজুরি টাইমে বাঁ দিক থেকে আসা ক্রসে হেড ছুঁইয়ে গোল করেন হ্যারি কেইন, ম্যাচে ফেরান দলকে (২-২)।
শেষ বাঁশি বাজতেই বার্লিনের মাঠে হতাশা বায়ার্ন কোচ কোম্পানির মুখে। রেকর্ডের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থেমে গেলেন তিনি। শুধু দুই পয়েন্ট নয়, হারালেন ইতিহাস লেখার সুযোগও।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















