চাকুরি হারালেন আর্জেন্টিনার আন্ডার সেক্রেটারি (স্পোর্টস) জুলিও গারো। কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পর মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দো ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে দেখা গেছে ফ্রান্সের জাতীয় দলের আফ্রিকান বংশোদ্ভুত ফুটবলার বিশেষ করে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে উদ্দেশ্য করে বর্ণাবাদী গান গেয়ে শিরোপা জয় উদযাপন করছেন। যদিও এই ভিডিওতে মেসির উপস্থিত পাওয়া যায়নি।
বর্ণবাদী আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে এনজো ফার্নান্দো বলেন, তার ভুল হয়েছে। ওই ভিডিও সামনে আসার পর গত বুধবার মেসি ও আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ক্লদিও তাপিয়াকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান গত মার্চে স্পোর্টসের আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া জুলিও গারো। এরপরই প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে তাকে বহিষ্কারের আদেশ দেয়া হয়।
এনজো’র ভিডিও দেখা গেছে ফ্রান্সের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য করে একটি গান পরিবেশন করছেন ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে খেলা ২৩ বছর বয়সি এই মিডফিল্ডার। গানের মধ্যে কয়েকটি লাইন ছিলো, ‘তারা ফ্রান্সের হয়ে খেলে কিন্তু তাদের বাবা-মা এসেছে অ্যাঙ্গোলা থেকে।’ আরেকটি লাইনে ছিলো, ‘তাদের মা এসেছে ক্যামেরুন থেকে আর বাবা এসেছে নাইজেরিয়া থেকে। কিন্তু তাদের পাসপোর্ট বলছে তারা ফরাসি নাগরিক।’ এছাড়া কিলিয়ান এমবাপ্পে ও তার ট্রান্সজেন্ডার বান্ধবী ইনেস রাউকে নিয়েও আপত্তিকর কথা ছিলো এনজোর গানে।
এক রেডিও ইন্টারভিউতে জুলিও গারো বলেন, অধিনায়ক হিসেবে লিওনেল মেসি ও ফেডারেশনের সভাপতি ক্লডিও তাপিয়াকে দায় নিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে এবং এটিই হবে উপযুক্ত কাজ। তারা ক্ষমা না চাইলে অনেক অর্জনের পরও আমাদেরকে জাতি হিসেবে বাজে অবস্থার মধ্যে ঠেলে দিবে।
আন্ডার সেক্রেটারির মন্তব্য সামনে আসতেই প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের মিলেই এর অফিসিয়াল ‘এক্স হ্যান্ডল’ (সাবেক টুইটারে) একটি বিবৃতি দেয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আর্জেন্টিনার জাতীয় দল যারা একইসাথে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং দুইবারের কোপা আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন বা অন্য কোনো নাগরিককে কী মন্তব্য করতে হবে, কী ভাবতে হবে বা কী করতে হবে তা কোনো সরকারই বলতে পারে না। এই কারণে, জুলিও গ্যারোকে জাতীয় ক্রীড়া বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারির পদ থেকে অপসারণ করা হলো।
যদিও রেডিওতে প্রচারিত মন্তব্যের পর, জুলিও গারো ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘কাউকে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য ছিলো না। এ কারণেই আমি পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছি। তবে এও বলে রাখি আমি সবসময়ই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান ধরে রাখবো।