লিওনেল মেসির সাফল্যের মুকুটে যোগ হলো আরও একটি পালক। শনিবার রাতে তার নেতৃত্বে ইন্টার মায়ামি জয় করেছে এমএলএস কাপ। ভ্যানকুয়েভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ইন্টার মায়ামি প্রথমবারের মতো এই শিরোপা জয় করেছে।
গোল পাননি মেসি, তবে গোলের রূপকার ছিলেন। ৩-১ গোলে পাওয়া জয়ে মেসিদের মিশন শুরু হয়েছিল আত্মঘাতি গোলে। অষ্টম মিনিটে ইদিয়ের ওকাম্পোর আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি। প্রথমার্ধে কোনো দল আর গোল করতে পারেনি।
দ্বিতীয়াধে ভ্যানকুয়েভারের আল আহমেদ গোল করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু তার এই গোল খুব বেশি ভ্যানকুয়েভারকে স্বস্তিতে রাখতে পারেননি। ১১ মিনিট পর ৭১ মিনিটে রদ্রিদো ডি পল করে মায়ামি আবার এগিয়ে নেন। এ গোলটির রূপকার ছিলেন মেসি। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে আবার গোল পায় মায়ামি। মেসির তৈরি করা সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচের শেষ গোলটি করেন তাদেও আলেন্দে।

মেজর সকার লিগের ত্রিশ বছরের ইতিহাসে ১৬তম ক্লাব হিসেবে ইন্টার মায়ামি এই শিরোপার দেখা পেল। তারই সুবাদে গত পাঁচ মৌসুমে নতুন পাঁচ চ্যাম্পিয়ন পেল লিগটি। গত ৯ বছরে আটটি দল এই শিরোপা জয় করেছে। শুধুমাত্র কলম্বাস দুইবার শিরোপা উৎসব করার সুযোগ পেয়েছে।
২০২০ সালে সাবেক ইংলিশ তারকা ডেভিড বেকহ্যামের নেতৃত্বে যাত্রা শুরুর পর এটাই মায়ামির সবচেয়ে বড় শিরোপা জয়। এই শিরোপা জয়ের মাঝ দিয়ে ইন্টার মায়ামির ট্রফি কেস আরও সমৃদ্ধ হলো। ২০২৩ সালে লিগস কাপ, পরের বছর সাপোর্টার্স শিল্ড আর এ বছর মেজর লিগ সকার ট্রফি।
এই শিরোপা জয়ের মাঝ দিয়ে লিওনেল মেসির শিরোপা জয়ের সংখ্যাটা আরও সমৃ্দ্ধ হলো। সিনিয়রদের খেলায় ৪৪তম শিরোপা এটি তার। এমএলএস কাপে মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারের পুরস্কারটিও পেয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে মায়ামি যোগ দেওয়ার পর ক্লাবকে প্রতি বছর একটা করে ট্রফি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩















