গতবারের ব্যর্থতার দাগ মোছার স্বপ্ন নিয়েই মাঠে নেমেছিল মোহামেডান। প্রতিশোধের নেশায় মরিয়া দলটি ভেবেছিল এবার বুঝি ট্রফি ফিরবে তাদের ঘরে। কিন্তু কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দেয় বসুন্ধরা কিংস। এক খেলোয়াড় কম নিয়েও দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে ৪-১ গোলের বড় জয় তুলে নেয় তারা। আর সেই সঙ্গে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ কাপের শিরোপা নিজেদের করে নেয় কিংস।
শুক্রবারের ছুটির দিনেও কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে গ্যালারি ভর্তি ছিল উৎসাহী দর্শকে। মোহামেডানের হোম ভেন্যু হলেও মাঠজুড়ে ছিল বসুন্ধরা কিংসের উৎসব। এক খেলোয়াড় কম নিয়েও চার-এক গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় কিংস মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে। কিন্তু সংখ্যাগত ঘাটতি দলটিকে আরো জেদী করে তোলে। ৭২ মিনিটে রাফায়েল আগুস্তোর গোলে ফের লিড নেয় কিংস। তিন মিনিট পরই সাবেক ক্লাব মোহামেডানের জালে বল পাঠিয়ে ব্যবধান বাড়ান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমানুয়েল সানডে। আর ম্যাচের ৮৬ মিনিটে সানডের পাস থেকে দোরিয়েলতন গোমেজের চমকপ্রদ গোল জয় নিশ্চিত করে বসুন্ধরার।
তবে গোল উৎসবের মাঝেই ঘটে বিশৃঙ্খলা। গ্যালারি থেকে বোতল ও স্মোক ফ্লেয়ার ছোড়া হয় কিংসের পোস্টের দিকে। এতে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল কিংস অ্যারেনায়।
প্রথমার্ধও ছিল টানটান উত্তেজনায় ভরপুর। সপ্তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় কিংস, গোল করেন দোরিয়েলতন। তবে ছয় মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরে মোহামেডান, গোলদাতা মোজাফফরভ। যোগ করা সময়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন দোরিয়েলতন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণাত্মক ছিল মোহামেডান। কিন্তু লাল কার্ডে প্রতিপক্ষ দশ জন হয়ে যাওয়ার পরও তারা সুবিধা নিতে পারেনি। উল্টো বসুন্ধরা কিংস দাপট দেখিয়ে শিরোপার মুকুট পরে নেয় আবারও।
