মালির অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার সুলেমান দিয়াবাতে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে সুপরিচিত। ঢাকা মোহামেডানের হয়ে ছয় মৌসুম খেলে ২২ বছর পর প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা এনে দিয়েছিলেন অধিনায়ক হিসেবে। তবে পুরনো ক্লাব তাকে দলে রাখেনি। নতুন গন্তব্য হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা আবাহনী।
গতকাল প্রথমবারের মতো আকাশি-নীল জার্সিতে অনুশীলনে নেমেছেন দিয়াবাতে। প্রতিপক্ষ থেকে সতীর্থে রূপ নেওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, “আবাহনীর সব খেলোয়াড়কে আমি চিনি। তাই তারা আমার কাছে নতুন নয়। হয়তো খেলাটা নতুন, তবে যেমনটা বলেছি ফুটবল একই ধরনের। খালি নামটা ভিন্ন।”
আগামী ১২ আগস্ট এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে আবাহনীর প্রথম ম্যাচ কিরগিজস্তানের মুরাস ইউনাইটেডের বিপক্ষে। দিয়াবাতে দৃঢ় প্রত্যয়ী, “প্রথমবার এএফসি টুর্নামেন্টে খেলছি। তাই আমি আমার খেলাটা খেলবো, ইনশাআল্লাহ। আমরা জেতার চেষ্টা করবো। জয়ের জন্য সবকিছু করবো।”
মোহামেডানকে এএফসি আসরে খেলানোর সুযোগ থাকলেও ক্লাব লাইসেন্স সমস্যায় সুযোগ পেয়েছে আবাহনী। ভাগ্যের খেলায় এবার ভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলবেন তিনি। “ফুটবল একজনের খেলা নয়। শুধু বিদেশিদের জন্য নয়, স্থানীয়রাও গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি তারা ভালো খেলোয়াড়। তারা যদি আমাকে সহায়তা করে আমরা কিছু একটা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ,” যোগ করেন দিয়াবাতে।
কোচিং স্টাফের পার্থক্যও তুলে ধরলেন তিনি, “প্রথম দিন অনুশীলন করে মনে হয়েছে আবাহনী ও মোহামেডানের মধ্যে বড় পার্থক্য আছে। এখানকার কোচিং কৌশল খুব ভালো। মারুফের কৌশল খুব ভালো, গেম প্ল্যানিংও। তাই পার্থক্যটাও বড়।”
শিরোপা জয়ের স্বপ্নও ব্যক্ত করলেন এই মালিয়ান ফরোয়ার্ড, “মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে আবাহনী কেন পারবে না। আমি অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়। জানি কীভাবে খেলতে হয়। আমি আমার সেরাটা দেবো এবং গোল করবো।”
