উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আগের রাতে বার্সেলোনা অনবদ্য এক গল্প লিখেছিল। প্রত্যাবর্তনের গল্প। পিছিয়ে পড়েও ম্যাচ জিতেছিল। বুধবার রাতে তেমনই এক গল্প লিখেছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই। তাদের প্রত্যাবর্তনের গল্পে কপাল পুড়েছে ম্যানচেস্টার সিটির। অ্যাওয়েতে দুই গোলে এগিয়ে থাকার পরও ৪-২ গেলে গোলে হেরেছে ম্যানসিটি।
এ জয়ের ফলে ৭ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোতে খেলার সম্ভাবনা ধরে রেখেছে পিএসজি। অন্যদিকে বিদায়ের খাতায় নাম লেখানোর অপেক্ষায় ম্যানচেস্টার সিটি। সাত খেলায় তাদের পয়েন্ট মাত্র ৮।
ম্যাচ হেরে বিদায়ের কাছাকাছি ম্যানচেস্টার সিটি। অথচ ম্যাচের শুরুটা মোটেও তেমন ছিল না। বরং বলা যায় বিপরীত ছিল। একের পর এক আক্রমণ আর প্রতি আক্রমণে ম্যাচটা প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল। এর মাঝে বৃষ্টি হামলে পড়ে। তবে আক্রমণের ধার কমতে দেয়নি কোনো দল। প্রথমার্ধে কোনো দল গোলও পায়নি। বিরতির পর দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ম্যানসিটি। আর তাতেই যেনো তাদের আক্রমণের ধার আরো বেড়ে যায়। তার সুফলও তারা ঘরে তোলে। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে সমর্থকদের আনন্দে ভাসিয়ে দেয়। জ্যাক গ্রিলিস ৫০ মিনিটে এবং আর্লিং হালান্ড ৫৩ মিনিটে গোল দুটি করেন।
এ অবস্থায় পিএসজির ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর শুরু হয় আসল নাটক। পিএসজি চার মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল ফিরিয়ে দেয়। ওসমানে দেম্বেলে ৫৬ মিনিটে এবং ব্রাডলে বার্কোলি ৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন।
সমতায় ফেরানোর পর বসে থাকেনি পিএসজি। বরং জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। তার ফলও তারা পায়। হোয়াও নেভেস ৭৮ মিনিটে এবং গনকালো রামোস ৯৩ মিনিটে গোল করে পিএসজির জয় নিশ্চিত করেন।