ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তুলনামূলক দূর্বল শক্তির দল এএফসি বোর্নমাউথ। তবে শনিবার রাতে ঘরোয়া লিগ ম্যাচে তারা ম্যানচেস্টার সিটির সামনে ভয়ঙ্কর এক দল হিসেবে হাজির হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যানসিটির জয়রথ তারা রুখতে পারেনি তবে বড় দলটির কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ ঠিকই বাড়িয়ে দিয়েছিল। ফিল ফোডেনের গোলে অ্যাওয়েতে ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে শিরোপা প্রত্যাশী দলটি।
এ জয়ের ফলে লিগ শিরোপা লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি নিজেদেরকে ভালোভাবেই ধরে রেখেছে। ২৬ ম্যাচ শেষে ৫৯ পয়েন্ট তাদের। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৬০। আর ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনাল তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে চলেছে।
২৮ মিনিটে আর্লিং হালান্ডের সঙ্গে দারুণ এক বোঝাপড়ার ফসল ঘরে তোলেন ফোডেন। তার এই গোল শেষ পর্যন্ত ম্যানসিটিকে কঠিন লড়াই থেকে মুক্তি এনে দেয়। স্বাগতিক দল অবশ্য পয়েন্টে ভাগ বসানোর সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি। বিরতির পর মার্কাস টাভেরনিয়ার দুইবার গোলের সম্ভাবনা তৈরি করলে তাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি। একই অবস্থা ইনেস উনালের। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহুর্তে তিনি শুধু ম্যানসিটির বুকে কাঁপন ধরাতে পেরেছিলেন, তার বেশি কিছু নয়।
ম্যানসিটির জয়ের দিনে নিজেদের অবস্থা আরো নাজুক করেছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নিজেদের মাঠের খেলায় ফুলহামের কাছে তারা ১-২ গোলে হেরেছে। এই হার তাদের হতাশা বাড়ানোর জন্য যথেষ্ঠ। ৮৯ মিনিটে হ্যারি মাগুইরের গোলে ম্যানইউ যখন পয়েন্ট ভাগাভাগির স্বপ্ন দেখছে ঠিক তখনই তাদের হতাশায় ডুবিয়ে দেন অ্যালেক্স টোবি। ৯৭ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন তিনি। এর আগে ৬৫ মিনিটে ফুলহামকে এগিয়ে নেওয়ার কাজটি করেছিলেন কালভিন বাসে।
এ জয় ফুলহামের জন্য একটা ঐতিহাসিক মাইলফলক। কেননা ২০০৩ সালের পর এই প্রথম তারা ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথম জয়ের মুখ দেখলো। আর ১৯৬৩ সালের পর ম্যানইউয়ের মাঠে এটা তাদের মাত্র দ্বিতীয় জয়।