ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের উত্তাপে মোরছালিনের গোল করার মুহূর্তটা যেন স্থির হয়ে গিয়েছিল। বল নিয়ে সলো রান নেয়া রাকিব একাই ভারতের ডিফেন্ডারদের নাস্তানাবুদ করছিলেন। তার সলো রানের মধ্যেই ডানদিক থেকে দৌড়ে আসা মোরছালিন কে দিলেন এক পারফেক্ট পাস। মোরছালিন পায়ে বল পেয়েই জালে বল ঠেলতে না ঠেলতেই ক্যামেরা ঘুরে যায় বাঁ প্রান্তে। সেখানে দাঁড়িয়ে রাকিব হোসেন। তাঁর পায়ের সেই নিখুঁত পাসে মোরছালিনের করা গোলই জাতীয় স্টেডিয়ামের ২২ হাজার দর্শককে একসঙ্গে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ার রসদ জুগিয়েছিল।
জাতীয় দলের হয়ে তিন মৌসুমে ৪৯ ম্যাচ খেলা রাকিবের কাছে এই অ্যাসিস্টই এখন সবচেয়ে স্মরণীয়। গোল না করেও যে এত তৃপ্তি পাওয়া যায়, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর সেটিই বুঝেছেন তিনি। কারণ ম্যাচের আগেই টিম হোটেলে খেলোয়াড়রা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, যাই হোক জিততেই হবে।
রাকিব বললেন, দলের প্রত্যেকেই শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি রেখেছে। আর সেই লড়াইকে আরও আগুনে রেখেছেন হামজা চৌধুরী। শুধু মাঠে নন, ড্রেসিংরুমেও তিনি বাকিদের সাহস জোগান। ভুল হলে পাশে দাঁড়ান। নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ৩১ মার্চ। তবে দুই হলুদ কার্ডের কারণে খেলতে পারবেন না রাকিব ও তপু। তবু রাকিবের বিশ্বাস, দল নিজের ধারায়ই এগোবে।
২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেয়ে রাকিব মনে করেন, এটাই বাংলাদেশের ফুটবলের নতুন সূচনা। পেছনে তাকিয়ে থাকার সময় আর নেই।
