ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য ছিলো কেবল নিয়মরক্ষার। প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৩-১ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিলো সাইফুল বারী টিটুর দল। ফলে মূল খেলোয়াড়দের বসিয়ে রেখে এদিন রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি পরিক্ষা করার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ।
ম্যাচে জোড়া গোল করেন মোসাম্মত ঐশি খাতুন। একটি করে গোল করেন নুসরাত জাহান মিতু ও শ্রীমতি তৃষ্ণা রাণী।
তিন ম্যাচের সবগুলোতেই জয়। গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে বাংলাদেশই সেরা। ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রুপের দুই সেরা দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে। ঐ ম্যাচের আগে বেঞ্চের শক্তি বাজিয়ে দেখতে চাওয়া কোচ সাইফুল বারী টিটু তার মেয়েদের পারফরমেন্সে মুগ্ধ। সব মিলিয়ে আত্নবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল।
কমলাপুর স্টেডিয়ামে গ্রুপের শেষ ম্যাচটায় প্রথম দুই ম্যাচে শুরুর একাদশে থাকা ৯ জনকে বসিয়ে রেখে তৃতীয় ম্যাচের দল সাজান টিটু।
১৮ মিনিটে বাংলাদেশ এগিয়ে দেন নুসরাত জাহান। ৩১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন ঐশি। ২-০ গোলে প্রথমার্থ শেষ করা বাংলাদেশ আরও দুই গোল আদায় করে নেয়। ৫৮তম মিনিটে তৃষ্ণা রানী ব্যবধান ৩-০ নিয়ে যাওয়ার পর ৬২তম মিনিটে দলের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ঐশি খাতুন।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি আমি আগেই জানি এই ম্যাচে তা পরীক্ষা করে নেয়ার সুযোগ পেয়েছি। ফলে ফাইনালের প্রতিপক্ষ আমাদের নির্দিষ্ট কোন খেলোয়াড়কে টার্গেট করলেও অন্যরা দলের প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে পারবে।’
