ভারতকে হারিয়ে ঢাকার মাঠে গৌরবের মুহূর্ত ছড়িয়ে দেওয়ার পর জাতীয় দলের মিডফিল্ডার শমিত সোম ফিরলেন নিজের শহর শ্রীমঙ্গলে। তবে এবারের ফেরাটা একেবারেই ভিন্ন আবেগে ভরপুর। ছোটবেলার ছুটি কাটানো জায়গায় এবার তিনি ফিরছেন জাতীয় দলের নায়ক হিসেবে। স্বাভাবিকভাবেই তাকে এক নজর দেখার জন্য বাড়ির সামনে জড়ো হন স্বজন, বন্ধু আর স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
শমিতের শ্রীমঙ্গলে কাটানো দিনগুলো একসময়ে ছিল পুরোপুরি পারিবারিক। তখন তার পরিচয় সীমাবদ্ধ ছিল পরিবার-আত্মীয়দের মাঝেই। তবে জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার পর গত কয়েক মাসে তিনি তিনবার দেশে এলেও ব্যস্ত সূচির কারণে নিজের বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। ভারতকে হারানো ম্যাচের ঠিক পরদিনই তাই সুযোগ হাতছাড়া করেননি। সরাসরি উড়াল দেন সিলেট হয়ে শ্রীমঙ্গলের বাড়িতে।

ফিরেই পেলেন এক অন্যরকম ভালোবাসা। কানাডায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা শমিত দীর্ঘদিন খেলেছেন ক্যাভলারি এফসির হয়ে, কানাডার জাতীয় দলের জার্সিতেও খেলেছেন প্রীতি ম্যাচ। এরপর বাবা-মায়ের সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে চলতি বছর লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয় তার। মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে সবার নজর কাড়েন এই তরুণ মিডফিল্ডার। পরদিনই কাজিনের সঙ্গে বিমানে করে পৌঁছান নিজের শহরে, আর সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমে যায় স্থানীয় গণমাধ্যম, স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের।

সবার প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে শমিত নিজের অনুভূতির কথাও বলেন,
“শ্রীমঙ্গলে এসে খুব ভালো লাগছে। তিনবার বাংলাদেশে এলেও এখানে আসা হয়নি। এবার সময় কাটাতে পেরে সত্যিই ভালো লাগছে।”
বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে উঠতে না পারলেও দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি আশাবাদী। তার ভাষায়,
“আমরা প্রতিটি ম্যাচেই উন্নতি করছি। পারফরম্যান্স ভালো হলেও ফল আমাদের পক্ষে আসছিল না। শেষমেশ গতকাল আমরা জিতেছি। আগামি মৌসুমে সাফ, এরপর এশিয়ান কাপ ও বিশ্বকাপ ,সব জায়গায়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল হয়ে উঠতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”
হামজা চৌধুরী ও শমিতদের আগমনে বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। শমিতের কণ্ঠেও সেই ইতিবাচক সুর।
“আমরা একটু একটু করে প্রতি ম্যাচে উন্নতি করছি”।এই বিশ্বাসেই এগিয়ে যেতে চান জাতীয় দলের নতুন এই সেনানায়ক।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















