জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শুরুটা ভালোই করেছিল টাইগাররা। সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১১৮ রান যোগ করেন এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলাম। বিজয় আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি করেন সাদমান।
এরপর মুমিনুল হক, শান্ত, মুশফিকুর রহিমরা ভালোই ব্যাট করছিলেন। তাদের ব্যাটে লিডও পেয়ে যায় টাইগাররা। তবে দিনের শেষ সেশনে যেন চেনা রূপে ফিরে যায় স্বাগতিকরা। শেষ ৩২ রান তুলতেই ৪ ব্যাটারকে হারায় তারা। ৬৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে টাইগাররা।
৩ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তখনও বড় লিডের স্বপ্ন ছিল স্বাগতিকদের। তবে শেষ সেশনে এসে যেন চিরচেনা সেই বাংলাদেশ। শেষ ৩২ তুলতেই সাজঘরে ফেরন ৪ ব্যাটার। দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯১। উইকেটে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ (১৬) ও তাইজুল ইসলাম (৫)।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। তবে শেষ উইকেটে কোনো রান যোগ করতে পারেনি তারা।
শেষ উইকেটটাও গেছে তাইজুলের ঝুলিতে। প্রথম ইনিংসে ৬০ রান খরচায় ৬ উইকেট শিকার করেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। এরপর ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় খেলতে থাকেন দেখেশুনে। তাদের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ১১৮ রান। বিজয় আউট হলে ভাঙে এ জুটি। ফেরার আগে বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে ৮০ বলে ৩৯ রান।
টেস্টে এই ৩৯ রানের ইনিংসটিই বিজয়ের ক্যারিয়ারসেরা। এর আগে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ২৩ রানের। গ্রস আইল্যান্ডে ২০২২ সালের জুনে এই ২৩ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন বিজয়। এরপর লাল বলের ক্রিকেটে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।
দ্বিতীয় উককেট জুটিতে সাদমান ইসলামের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে বেন কারানের হাতে ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৪ বলে ৩৩ রান।
এর পরপরই ফিরে যান সাদমান ইসলাম। ব্রায়ান বেনেটের বলে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৮১ বলে ১২০ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস ২২৭/১০
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ২৯১/৭
দ্বিতীয় দিন শেষে ৬৪ রানে লিড বাংলাদেশের