মাঠে একের পর এক সাফল্যের গল্প লিখছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল—দক্ষিণ এশিয়ার সেরা, প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে জায়গা, কিন্তু মাঠের বাইরে ছবিটা ভিন্ন। ম্যাচ ফি, বেতন ও পুরস্কার; সবক্ষেত্রেই চলছে দীর্ঘসূত্রতা, যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন খেলোয়াড়রা।
২০২৪ সালে ১১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে দল। নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ম্যাচে এক মিনিট খেললেই প্রাপ্য ১০ হাজার টাকা, আর না খেললে ৫ হাজার টাকা। কিন্তু এই ম্যাচগুলোর ফি এখনো মেলেনি বলে অভিযোগ। “এই টাকার জন্য কতবার বাফুফেতে গেছি, কিন্তু কোনো ফল হয়নি”—বলেছেন এক শীর্ষ ফুটবলার।
সাফ শিরোপা জয়ের ৯ মাস পেরোলেও ঘোষিত দেড় কোটি টাকার পুরস্কার এখনো হাতে পাননি কেউ। এমনকি সরকারের দেওয়া একুশে পদকের সঙ্গে ঘোষিত আর্থিক পুরস্কারের অর্থও বকেয়া। একজন খেলোয়াড়ের ভাষায়, “টাকার পরিমাণ বড় বিষয় নয়, না দেওয়ার মানসিকতাটাই কষ্টের।”
বর্তমানে ১২-১৩ জন নারী ফুটবলার ভুটান লিগে খেলছেন। সেখানকার খেলোয়াড়রা অবাক হয়ে জানতে চান—বাংলাদেশে কেন নিয়মিত লিগ নেই? তুলনায় ভুটানের খেলোয়াড়রা সময়মতো সব বেতন ও ফি পান, অথচ বাংলাদেশের মেয়েদের মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়।
বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান দায়িত্ব এড়িয়ে বিষয়টি সাধারণ সম্পাদকের ওপর চাপিয়ে দেন। সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, ১১ ম্যাচের ফি বকেয়া থাকার তথ্য সঠিক নয়, তবে সঠিক তথ্যও জানাননি। সাফ জয়ের পুরস্কার বিষয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল সংক্ষিপ্ত—“নো কমেন্ট।”
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















