প্রিমিয়ার লিগে রোমাঞ্চকর এক রাত উপহার দিল লিভারপুল। ম্যাচের একেবারে শেষ বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে, ৯৫তম মিনিটে মোহাম্মদ সালাহর নিখুঁত পেনাল্টি গোলে ১-০ ব্যবধানে বার্নলিকে হারিয়েছে আর্নে স্লটের শিষ্যরা। এই জয়ের মাধ্যমে আবারও টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে অলরেডরা।
পুরো ম্যাচজুড়ে বার্নলির রক্ষণভাগ লিভারপুলকে বারবার আটকে দিয়েছে। ডমিনিক সোবোস্লাই ও ফেদেরিকো কিয়েসা একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মিলছিল না। বরং দ্বিতীয়ার্ধে বার্নলির জন্য বড় ধাক্কা আসে—ফ্যাবিয়ান ভির্টজকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লেসলি উগোচুকু। ফলে ৮৪তম মিনিট থেকে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্নলি।
তবুও সংখ্যাগত সুবিধা কাজে লাগাতে হিমশিম খাচ্ছিল লিভারপুল। ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে আসে নাটকীয় মুহূর্ত। জেরেমি ফ্রিমপংয়ের ক্রস বার্নলির খেলোয়াড় হ্যানিবাল মেজবরির হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি সালাহ, আর তাতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লাল জার্সিধারীরা।
এই জয়ে মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচেই টানা জয়ের কীর্তি গড়ল লিভারপুল—তৃতীয়বারের মতো তারা এই সাফল্য পেল। একই সঙ্গে টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতিটি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে গোল করার ধারাও অব্যাহত রাখল। বিশেষ দিক হলো, টানা চতুর্থ ম্যাচে শেষ ১০ মিনিট কিংবা তার পরের সময়ে জয়সূচক গোল করেছে লিভারপুল, যা লিগে নতুন এক রেকর্ড।
ব্যক্তিগত দিক থেকেও মাইলফলক ছুঁয়েছেন সালাহ। তার এ গোল প্রিমিয়ার লিগে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় তাকে ১৮৮ গোল নিয়ে চতুর্থ স্থানে তুলেছে, অ্যান্ড্রু কোলকে ছাড়িয়ে। এখন তার ওপরে আছেন শুধু ওয়েইন রুনি (২০৮), যিনি তৃতীয় স্থানে। অবাক করার মতো তথ্য হলো, প্রিমিয়ার লিগ ক্যারিয়ারে এটাই সালাহর প্রথমবারের মতো ৯০ মিনিটের পর করা জয়সূচক গোল।
