স্পেনের সামনে এককভাবে সর্বোচ্চ চতুর্থ শিরোপা জয়ের হাতছানি আর ইংল্যান্ডের সামনে প্রথম। যে দলই শিরোপা জয় করুক না কেন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে তৈরি হবে আরেকটি নতুন রেকর্ড।
বাংলাদেশ সময় আজ রাত একটায় বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে যেই দলের হাতেই শিরোপা উঠুক রা কেন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে নতুন একটা রেকর্ড লেখা হবে। ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব লড়াইয়ে তিনটি করে শিরোপা আছে জার্মানি ও স্পেনের।
শিরোপা জিতলে জার্মানদের টপকে এককভাবে সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা জেতার কৃতিত্ব দেখা লা ফুরিয়া রোজারা। আর ইংল্যান্ড অপেক্ষায় আছে প্রথমবারের মতো ইউরোতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।
এবারের আসরে এখনো পর্যন্ত দাপুটে খেলা উপহার দিয়েছে স্পেন। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে টানা ছয় ম্যাচ জয়ের রেকর্ড নেই কোন দলেরই। এবার যা করে দেখিয়েছে স্পেন। সেই রেকর্ড ৭ ম্যাচে নিয়ে যাওয়া মানেই এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা যাবে স্পেনেই। গ্রুপের পাশাপাশি নক আউট পর্বেও তারা প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে। ফলে ফাইনালে তারাই এগিয়ে থাকবে। অন্যদিকে গ্রুপ থেকে শুরু করে নকআউট পর্বেও খুড়িয়ে খুড়িয়ে পার হয়েছে হ্যারি কেইনের ইংল্যান্ড।
বিশ্ব ফুটবলে ছন্দময় ফুটবল উপহার দিলেও তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য ছিলো ১৯৬৪ সালের ইউরো জয়। সেই দলটাই ২০০৮ ও ২০১২ সালে টানা দুটি শিরোপা জয় করে নেয়। এছাড়াও ২০১০ সালের বিশ্বকাপ জয় করে অনন্য এক রেকর্ডের জন্ম দিয়েছিলো দলটি। কেননা কোন দলেরই টানা তিনিট বড় শিরোপা জয়ের রেকর্ড নেই। এবারও তারা আছে দারুণ ছন্দে। ফাইনালের পথে তারা স্বাগতিক জার্মানি ও ফ্রান্সকে হারিয়েছে। পলে তারা যে ভয়-ডরহীন ফুটবল খেলবে তা বলাই যায়।
বিপরীতে গ্রুপ পর্বের পাশাপাশি নক-আউটেও ভাগ্যকে সঙ্গী করে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। এটাই হতে পারে ফাইনালে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। যে দলটা গ্রুপেই বিদায় নিতে পারতো। এমনকি রাউন্ড অফ সিক্সটিন, কোয়ার্টার ফাইনাল এমনকি সেমিফাইনালেও তারা পেয়েছে ভাগ্যের ছোঁয়া। ফলে এই ম্যাচ তাদের জন্য বড় শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে।