ভুটান ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচকে কেন্দ্র করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম এবং আশপাশের দোকানপাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশনার পেছনে মূল লক্ষ্য—দর্শক ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং স্টেডিয়াম চত্বরে বিশৃঙ্খলা রোধ।
এনএসসি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ এবং ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচকে সামনে রেখে দুটি ধাপে দোকান বন্ধ থাকবে। প্রথম ধাপে ২ থেকে ৪ জুন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৮ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত স্টেডিয়ামের ভেতর ও আশপাশের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে বাস্তবচিত্রে দেখা যাচ্ছে, ঘোষিত সময়সূচির মাঝেও কিছু দোকান খোলা রয়েছে, যা নির্দেশনার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে আরও নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এনিয়ে অবশ্য স্টেডিয়াম চত্বরের দোকানপাটে কর্মরত ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সেখানে কর্মরত শিমুল নামের এক ফুটবলপ্রেমী জানিয়েছেন ঈদের আগমুহূর্তে দোকানপাট বন্ধে তাদের দুর্দশার কথা। এনএসসির এমন সিদ্ধান্তে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, “সাময়িকভাবে দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও সেটি উপেক্ষা করে মালিকপক্ষ গোডাউন খোলা রেখেছে। এর ফলে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে”। তবে বাংলাদেশ ফুটবল দলকে শুভকামনা জানানোর পাশাপাশি এভাবে দোকানপাট বন্ধ না রেখে স্টেডিয়াম ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অতিরিক্ত সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে জাতীয় দল পুরোদমে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইংলিশ ক্লাব ফুটবল থেকে বাংলাদেশ দলে ফেরা প্রবাসী মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন। এটি হতে যাচ্ছে তার ঘরের মাঠে অভিষেক ম্যাচ। পাশাপাশি স্কোয়াডে আছেন আরেক প্রবাসী ফুটবলার ফাহামিদুল ইসলামও।
এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচকে ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। আর সেই আবহেই নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার স্বার্থে নেয়া হয়েছে এই কঠোর ব্যবস্থা।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩















