২২ বছরের খরা কাটাতে চায় বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে ভারত ফুটবল দল এখন ঢাকায়। আগামী মঙ্গলবার রাত আটটায় জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। তারা রোববার ও সোমবার অনুশীলন করবে সফরকারীরা। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের মাঝে উত্তেজনাও বাড়ছে।
ঘরের মাঠে ভারতে হারাতে মরিয়া বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশও হারাতে চায় সফরকারীরা। সেই ২০০৩ সালে ঢাকা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে সর্বশেষ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার লক্ষ্য ২২ বছরের জয়খরা কাটানো।
১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে শেষ দিকে গোল হজম করে নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হয়েছে ২-২ ড্রয়ে। সেই হতাশা যেন ভারত ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের তৃঞ্চা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শনিবার অনুশীলন শুরুর আগে মিডফিল্ডার শমিত সোমের সংবাদ সম্মেলনে যা ফুটে উঠেছে।
লাল-সবুজ জার্সিতে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলেছেন শমিত। তবে জয়ের দেখা পাননি। নিজের ৫ম ম্যাচে জয়ের জন্য কতটা মুখিয়ে আছেন কানাডাপ্রবাসী ফুটবলার, তা বোঝাতে গিয়ে শমিত বলেন,
আমি আসার পরে এখনো জিতিনি। আমি ও পুরো দল (উপায়) খুঁজছি, কীভাবে ভারত ম্যাচটা জিততে পারি।
তবে গত কয়েক মাসে বাংলাদেশ দলে কেমন উন্নতি দেখলেন প্রশ্নে শমিতের উত্তর,
চার-পাঁচ মাসে অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা টিম স্পিরিট, টিম পাসিং, ম্যাচের কন্ট্রোল…এসব অনেক বেড়েছে। এখন মূল জিনিস হলো জিততে হবে।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে শমিত বলেন,
ভারত ভালো দল। আমরাও ভালো দল। এই ম্যাচটার অনেক অর্থ আছে। লড়াই হবে। আমরা তৈরি থাকব, আশা করি, জিততে পারব। চেষ্টা থাকবে যেন ভালো খেলতে পারি, ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারি। ২২ বছর বোধ হয় জিতি না ওদের সঙ্গে। আমরা জানি, এই ম্যাচ জিততে হবে এবং জিতব।
নেপাল ম্যাচের আগে হংকং ম্যাচেও শেষ সময়ে গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ। কেন এমন হচ্ছে জিজ্ঞাসা করলে শমিত বলেন,
ফুটবলে এগুলো হয়। কিছুটা ভাগ্যও দরকার। নেপালের শেষ সময়ে ওই কর্নার কিক…ওটা আসলে মনে হয় অফসাইডও ছিল। জানি না, কী কারণে এগুলো হচ্ছে। তবে আশা করি, আমরা ওই ভাগ্যটা পাশে পাব, যাতে এভাবে গোল না খাই।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩













