উয়েফা নেশনস লিগের সেমিফাইনালে জমজমাট লড়াইয়ের প্রত্যাশা ছিল সবার। তবে লড়াইটা যে এমন গোল বন্যার হবে তা হয়তো কেউ কল্পনাতেও আনতে পারেননি।স্পেন-ফ্রান্সের ৯ গোলের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয় স্পেনের। ৫-৪ গোলে জয় পেয়েছে তারা। শিরোপা লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ পর্তুগাল। প্রথম সেমিফাইনালে তারা জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করে।
ফ্রান্সের বিপক্ষে স্পেনের এ জয়ে মাঠের নায়ক ছিলেন টিন এজার তারকা লামিনে ইয়ামাল। জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন তিনি। নিকো উইলিয়ামস, মিকেল মেরিনো ও পেদ্রি করেন অন্য তিন গোল। ফ্রান্সের হয়ে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, পেন রায়ান চেকরি ও র্যান্ডল কোলো মুয়ানি। একটা গোল ছিল আত্মঘাতি। এ জয়ের ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে পৌঁছালো স্পেন।
নিকো উইলিয়ামস, মিকেল মেরিনোর গোলে প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। বিরতির পরপরই ইয়ামাল স্কোরশিটে নাম লিখিয়ে একপেশে ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তিন গোলে পিছিয়ে থাকা ফ্রান্স পরবর্তীতে দারুণভাবে ফিরে আসে। সমর্থকদের উজ্জ্বীবিত করে, তাদের মনে আশা জাগিয়ে তোলে। কিলিয়ান এমবাপ্পে ৫৯ মিনিটে গোল করেন। শেষ ১১ মিনিটে ফ্রান্স তিন গোল পায়। তবে তা জয়ের জন্য বা খেলাকে অতিরিক্ত সময়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। কিন্তু এমবাপ্পের গোলের পর ইয়ামাল আর এক গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছিলেন।
জার্মানিতে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচটি শুধু উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে ওঠার ম্যাচ ছিল তা নয়। ব্যালন ডি অর’ লড়াইয়ে এগিয়ে যাওয়ার একটা লড়াইও ছিল। স্পেনের ইয়ামালের বিপক্ষে লড়াইয়ে ছিলেন ওসমানে দেম্বেলে ও দেজার দোয়ে। ম্যাচের পারফরম্যান্সে ইয়ামলের কাছে ফ্রান্সের দুই তারকা একটু পিছিয়ে পড়লেন নিঃসন্দেহে।
