দুই মাদ্রিদের লড়াই বলে কথা। হাড্ডাহাড্ডি হবে এটাই স্বাভাবিক। বুধবার সুপারকোপার সেমিফাইনালে তার ব্যতিক্রম হয়নি। আট গোলের ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় ৫-৩ গোলে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের আল আউয়াল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ২-২ গোলে সমতা ছিল।
আগামী রোববার সুপার কোপার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। রিয়ালের প্রতিপক্ষ এখনো নির্ধারণ হয়নি। বার্সেলোনা ও ওসাসুনার মধ্যেকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয়ী দল শিরোপা লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে।
দুই মাদ্রিদের লড়াই ফুটবল ভক্তদের হতাশ করেনি। সত্যিকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ উপহার দিয়েছে তারা। নতুন মৌসুমে স্প্যানিশ ফুটবলের সেরা ম্যাচ বললেও ভুল হবে না।
লা লিগায় দুই দলের পার্থক্য বেশ বড় হলেও লিগে রিয়াল মাদ্রিদের একমাত্র হার এই অ্যাতলেতিকোর কাছে। ফলে ম্যাচ নিয়ে অ্যাতলেতিকো সমর্থকরা বেশ আশাবাদী ছিল।
তাদের প্রত্যাশাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার পথেই ছিল অ্যাতলেতিকো। তবে রিয়ালের দাপটে শেষ পর্যন্ত সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।
রিয়ালের বিপক্ষে দারুণ শুরু ছিল অ্যাতলেতিকোর। দলটির ডিফেন্ডার মারিও হার্মোসো সপ্তম মিনিটে হেড থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যানের করা কর্ণার কিকের বলে হার্মোসো যেভাবে হেড নিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক কেপার কিছুই করার ছিল না। অবশ্য এর আগেই অ্যাতলেতিকো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু স্যামুয়েল লিনোর শট কেপা রুখে দিয়েছিলেন।
প্রথম গোলের রূপকার গ্রিজম্যান ৩৭ মিনিটে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন। তবে এর আগেই রিয়াল মাদ্রিদ দুইবার অ্যাতলেতিকোর জালে বল ফেলে ম্যাচকে আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তোলে।
২০ মিনিটে অ্যান্তোনিও রুডিগের এবং ফেরল্যান্ড মেন্ডি ২৯ মিনিটে গোল করেছিলেন।
রিয়ালের হয়ে প্রথম গোল করা রুডিগের অবশ্য আরো একটা গোল করেছিলেন। তবে তার এই গোলে রিয়াল নয় অ্যাতলেতিকো আনন্দে ভেসেছিল। ৭৮ মিনিটে তার করা আত্মঘাতি গোলে অ্যাতলেতিকো জয়ের স্বপ্ন দেখছিল।
কিন্তু ৮৫ মিনিটে তাদের আনন্দে জল ঢেলে দেন দানি কারভাজাল। ফলে নির্ধারিত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলে সমতায় শেষ হয়।
অতিরিক্ত সময়ের খেলাও ৩-৩ গোলে সমতায় শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। উভয় দল যখন টাইবেকারের মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখনই অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।
ম্যাচ শেষ হওয়ার মাত্র চার মিনিট আগে জোসেলু রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-৩ গোলে এগিয়ে নেয়। আর ইনজুরি সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ব্রাহিম দিয়াজ স্কোরশিটে নাম লিখিয়ে অ্যাতলেতিকোর ফেরার পথ বন্ধ করে দেয়। সে সঙ্গে দলের ফাইনাল খেলাও নিশ্চিত হয়।