আগামীকাল মঙ্গলবার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছায় ভারতীয় দল, আর এ ম্যাচকে ঘিরে দুই দেশের সমর্থকদের উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।
বাংলাদেশ ফুটবলে উন্নতির ঢেউ স্পষ্ট। হামজা চৌধুরী ও সমিত সোম দলে যোগ দেওয়ার পরই বদলে গেছে দলের মানসিকতা ও আত্মবিশ্বাস। আর তার প্রতিফলন মিলছে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে। সেই অগ্রগতির স্বীকৃতি এবার দিলেন ভারতের অভিজ্ঞ গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ সামনে রেখে তিনি মনে করিয়ে দিলেন, আগের তুলনায় অনেক উন্নতি করেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। আগামীকালের ম্যাচকে সামনে রেখে তিনি অপেক্ষা করছেন লড়াইয়ে ভরপুর একটি খেলার।
২০১০ সালের সাউথ এশিয়ান গেমসে ঢাকায় খেলেছিলেন সান্ধু। পরিচিত মাঠে ফিরেই বাংলাদেশের উন্নতি তার চোখে লেগেছে, ‘এখানে খেলা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়েছে, অবকাঠামোও আগে থেকে ভালো।’
সান্ধু জানালেন, ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই আলাদা রকম উত্তাপ, ‘প্রতিবেশী দল হওয়ায় বাংলাদেশ সবসময়ই আমাদের বিপক্ষে ভালো করতে চায়। ম্যাচগুলো খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। খেলাটা খুব সুন্দর নাও হতে পারে, মাঝে মাঝে বিশৃঙ্খলাও লাগতে পারে। কিন্তু মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
ভারত ম্যাচের চার দিন আগে নেপালের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি সেরেছে বাংলাদেশ।
তবে ভারতের ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গান এবার জয়ের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তার ভাষায়, ‘আমাদের লক্ষ্য সেরাটা দেওয়া। কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে ফল আমাদের পক্ষেই যাবে। এইবার জিততে চাই।’ ২০১৫ সালে ভারতের অনূর্ধ্ব-২৩ দল ও পরে বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে ঢাকায় খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। তাই বাংলাদেশের পরিবেশ সম্পর্কে জানেন ভালোই।তিনি বলেন ‘বাংলাদেশের দর্শকরা ফুটবল ভালোবাসে। জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলতে চাপ থাকে, তবে পরিবেশ অসাধারণ,’
গত শনিবার ঢাকায় নেমেছে ২৩ সদস্যের ভারতীয় স্কোয়াড। স্বাগতিকদের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ হয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ খুব সুন্দরভাবে স্বাগত জানিয়েছে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য অবশ্যই মাঠের খেলাই। খেলাধুলা মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে, এই ম্যাচও তেমন কিছুই উপহার দেবে বলে আশা করি।’
গতকাল হালকা অ্যাক্টিভেশন সেশন শেষে বিকেলে অনুশীলন করেছে ভারত। আজ জাতীয় স্টেডিয়ামে অফিসিয়াল ট্রেনিংয়ে নেমেছে ভারত দল
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















