মাঠে যেন সময় থমকে আছে লিওনেল মেসির জন্য। বয়স বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু পারফরম্যান্সে তার ছাপ নেই কোনো! ইন্টার মায়ামির জার্সিতে আবারও আলো ছড়ালেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জোড়া গোল করে ভরসা জুগিয়েছেন ক্লাবকে, বড় ব্যবধানের জয়ও এসেছে তার পা থেকেই। নিউইয়র্ক সিটি এফসিকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মায়ামি।
বৃহস্পতিবার ভোরে নিউইয়র্কের সিটি ফিল্ডে প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রেখেছিল হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল। নিষেধাজ্ঞা শেষে ফিরেই পেনাল্টি থেকে গোল করেন লুইস সুয়ারেজ। মেসি করেন দুটি, আরেকটি গোল বালতাসার রদ্রিগেজের। পুরো ম্যাচে মায়ামির দাপট স্পষ্ট—৫২ শতাংশ বল দখলে রেখে ১২টি শট নেয় তারা, যার মধ্যে ৮টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে নিউইয়র্কের ৯ শটের মাত্র ২টি ছিল টার্গেটে।
প্রথম গোল আসে প্রথমার্ধের শেষ দিকে (৪৩ মিনিটে)। মাঝমাঠ থেকে মেসির নিখুঁত পাস পেয়ে বালতাসার এগিয়ে গিয়ে বল জালে জড়ান। এই গোলে এমএলএস ইতিহাসে অনন্য কীর্তি গড়েন মেসি—টানা দ্বিতীয় মৌসুমে ৩৫ গোলে সরাসরি অবদান রাখা প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে।
দ্বিতীয়ার্ধটা হয়ে ওঠে মেসির মঞ্চ। ৭৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে পাওয়া পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে এগিয়ে যান তিনি, এরপর গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে দারুণ চিপে জালে পাঠান বল। ৮২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন সুয়ারেজ। আর ৮৬ মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে বক্সে ঢুকে নিচু শটে দ্বিতীয়বার জাল খুঁজে নেন মেসি। এতে তিনি এমএলএস ইতিহাসের মাত্র চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমে ৮ ম্যাচে একাধিক গোল করার কীর্তি গড়েন।
এই জয়ে নতুন উচ্চতায় মায়ামি। গোলরক্ষক ওস্কার উস্তারি টানা ছয় ম্যাচে ক্লিনশিট ধরে রেখেছেন। দলটিও টানা তৃতীয় জয়ের দেখা পেল। চলতি এমএলএসে সর্বোচ্চ ৬৪ গোল করেছে তারা, সর্বশেষ ৬ ম্যাচের পাঁচটিতেই প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে অন্তত তিনবার করে। ২৯ ম্যাচ শেষে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে তিন নম্বরে রয়েছে মায়ামি। তবে শীর্ষে এখনো দুই ম্যাচ বেশি খেলা ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন (৬০) ও এফসি সিনসিনাতি (৫৮)।
