টান টান উত্তেজনার ম্যাচ, খেলার একেবারে শেষ মুহুর্ত। ইনজুরি সময়ের দ্বিতীয় মিনিট। গোল করলেন সাগরিকা। শক্তিশালী ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা দুই জয় নিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছে গেলো বাংলাদেশ দল।
২ ফ্রেবুয়ারি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ভুটানকে ১০-০ গোলে হারিয়েছিলো ভারতের মেয়েরা। ওইদিনই নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন সাগরিকা। আজ করলেন ম্যাচের একমাত্র গোল।
ভুটানের বিপক্ষে বড় জয় পাওয়া ভারত যে এই ম্যাচে বাংলাদেশের শক্ত প্রতিপক্ষ হবে সে ধারণা নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন সাইফুল বারী টিটুর মেয়েরা। ইনজুরি সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে অধিনায়ক আফিদা খন্দকারের থ্রু পাস থেকে গোল করেন সাগরিকা।
এর আগে ৮৭তম মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ মিস করেন নেপালের বিপক্ষে গোলদাতা মুনকি আক্তার। কিন্তু হতাশ করেননি সাগরিকা। তাকে আটকানোর জন্য সারাক্ষণই পাহাড়া দিয়েছে ভারতীয় দলের রক্ষণ।
ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলটা বেশ শক্তিশালী। অধিনায়কত্ব করছেন অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ খেলা নিতু লিন্ডা। শুরুর দিকে ভারতই গোল করার সুযোগ পেয়েছিলো। ১২তম মিনিটে নেহা বাংলাদেশের গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল বাইরে মারেন।
গোলবারে স্বর্ণা রাণী মন্ডলও এদিন ছিলেন দারুণ আত্নবিশ্বাসী। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে কিছুটা নার্ভাস থাকায় গোলও হজম করেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু এদিন ভারতের বেশ কয়েকটি আক্রমণ রুখে দেন স্বর্ণা।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ দলই আধিপত্য দেখিয়েছে। ভারত যেখানে বলার মতো আক্রমণ করতে পারেনি। সেখানে ৭২তম মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন স্বপ্না রাণী। কিন্তু ভারতীয় গোলরক্ষক আনিকা দেবীকে একা পেয়েও গোল করতে পারেন নি।
কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে নেপাল। ফলে ফাইনালে যাওয়ার আশা তাদেরও আছে। ৬ জানুয়ারি ভারত ও নেপালের মধ্যকার বিজয়ী দল দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট পাবে।