২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে নভেম্বর মাসেই ইউরোপ সফরে নামছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। আফ্রিকার দুই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ—সেনেগাল ও তিউনিসিয়ার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে কার্লো আনচেলত্তির দল। নিজেদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)।
অক্টোবর উইন্ডোর মিশ্র পারফরম্যান্স শেষে এবার নতুন চ্যালেঞ্জে নামছে ব্রাজিল। সিউলে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫–০ গোলে উড়িয়ে সফর শুরু করলেও, পরের ম্যাচেই জাপানের বিপক্ষে ৩–২ ব্যবধানে হেরে যায় আনচেলত্তির দল। ১৩ বারের দেখায় প্রথমবারের মতো এশিয়ার কোনো দলের কাছে পরাজয়ের স্বাদ নেয় সেলেসাওরা।
এবার নভেম্বরে ইউরোপেই তারা দুই আফ্রিকান প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হবে। ১৫ নভেম্বর লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় সেনেগালের বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল। এরপর ১৯ নভেম্বর ফ্রান্সের লিলে অবস্থিত পিয়েরে-মাউরি স্টেডিয়ামে তিউনিসিয়ার মুখোমুখি হবে তারা।
সিবিএফ জানিয়েছে, “আফ্রিকান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেললে দলের ফিটনেস, ট্যাকটিক্যাল শক্তি ও অভিজ্ঞতা বাড়বে। বিশ্বকাপের আগে এটি আমাদের জন্য দারুণ পরীক্ষা।” ২০২৬ সালের জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই ম্যাচগুলোকেই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিমূলক ধাপ হিসেবে দেখছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন।
আনচেলত্তির অধীনে এখন পর্যন্ত ব্রাজিল মোট ৬টি ম্যাচ খেলেছে—৩ জয়, ১ ড্র ও ২ হারে কোচের সাফল্যের হার ৫৫ শতাংশের নিচে। তাই নভেম্বরের ম্যাচগুলোতে দল নিয়ে আরও স্থিতিশীলতা খুঁজবেন এই ইতালিয়ান কোচ। নতুন মুখদের যাচাই ও সঠিক সমন্বয় গড়ে তোলার কাজ চলছে জোরেশোরে।
সেনেগালের বিপক্ষে ব্রাজিলের অতীত রেকর্ড খুব একটা সুখকর নয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালে সেনেগালের কাছে ৪–০ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। তারও আগে ২০১৯ সালে দুই দলের প্রীতি ম্যাচটি ১–১ গোলে ড্র হয়েছিল। অন্যদিকে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের পরিসংখ্যান একেবারেই বিপরীত—২০২২ সালে ৫–১ গোলে জিতে আত্মবিশ্বাসী জয় পেয়েছিল তারা।
সিবিএফ সূত্রে জানা গেছে, সামনে তিনটি আন্তর্জাতিক উইন্ডো—নভেম্বর, মার্চ ও জুনে ব্রাজিল দল বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াড চূড়ান্ত করতে চায়। মার্চে ইউরোপের কোনো শীর্ষ দলের বিপক্ষে খেলার পরিকল্পনা রয়েছে, আর জুনে ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে পারে দলের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ।
অক্টোবরে জাপানের কাছে অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের পর এবার আফ্রিকান চ্যালেঞ্জ দিয়েই ২০২৫ সাল শেষ করতে যাচ্ছে সেলেসাওরা। আনচেলত্তির জন্য এ দুটি ম্যাচ শুধু প্রীতি নয়, বরং বিশ্বকাপ–যাত্রার আগে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার অন্যতম বড় সুযোগ।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















