কাতার বিশ্বকাপে ছিল না ইতালি। বাছাই পর্বের বাধা পার হতে না পারায় বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছিল সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। এবারের ইউরোতেও একই অবস্থার শিকার হতে পারে দলটি। মঙ্গলবার রাতে ইউরো বাছাই পর্বে ইংল্যান্ডের কাছে হার তাদের এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩-১ গোলে হেরেছে তারা। ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন জোড়া গোল করেন। এ জয়ের ফলে ‘সি’ গ্রুপ থেকে ইংল্যান্ডের চূড়ান্ত পর্বে খেলা নিশ্চিত হয়েছে। ছয় ম্যাচ থেকে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা। অন্য দিকে হারের ফলে ইতালির চূড়ান্ত পর্বে খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে এসেছে। প্লে অফের জন্য তাদেরকে এখন পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউক্রেনের সঙ্গে লড়তে হবে। সাত খেলা থেকে ১৩ পয়েন্ট ইউক্রেন দ্বিতীয় স্থানে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা ইতালির পয়েন্ট ১০। তবে তারা ইউক্রেন থেকে একটা ম্যাচ কম খেলেছে।
বড় ব্যবধানে হারলেও প্রথম গোলের দেখা পেয়েছিল ইতালি। ম্যাচের শুরু থেকেই ইংল্যান্ডের আধিপত্য ছিল স্পষ্টা। কিন্তু স্বাগতিক দলকে স্তদ্ধ করে দিয়ে ম্যাচের ১৫ মিনিটে ইতালি এগিয়ে যায়। জিওভান্নি ডি লরেঞ্জোর কাছ থেকে বল পেয়ে গিয়ানলুকা স্ক্যামাক্কা গোল করেন। ইতালির এ গোলের ফলে ২০২১ সালের ফাইনালের স্মৃতি উঠে আসছিল বারবার। ২০২০ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এ মাঠেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতালি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
পিছিয়ে পড়লেও ইংল্যান্ড সমতা আনতে খুব বেশি সময় নেয়নি। পেনাল্টি থেকে গোল করে খেলায় সমতা আনে ইংল্যান্ড। গোল করেছিলেন হ্যারি কেন। জুডে বেলিংহামকে অবৈধভাবে বাধা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন ডি লরেঞ্জো। দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। কেইন ধীরে সুস্থে ইতালির গোলরক্ষকক গিয়ানলুইজি দোন্নারুমাকে বোকা বানিয়ে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন।
বিরতির পর রাশফোর্ড ব্যবধান ২-১ করেন। বেলিংহাম ছিলেন এ গোলের রূপকার। ৭৭ মিনিটে কেইন আবার গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এ গোলের ফলে ওয়েম্বলিতে কেনের করা গোলের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৪। টপকে গেলেন তিনি ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ববি চার্লটনকে।