দিয়াগো ম্যারাডোনা পৃথিবীর মায়া ছেড়েছেন ২০২০ সালে। চলে গেছেন সব মামলা মোকাদ্দমার উর্ধ্বে। মৃতু্যর তিন বছর এই আর্জেন্টাইন তারকা তার বিরুদ্ধে চলা এক মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। অবসান হয়েছে ইতালিতে তার বিরুদ্ধে ৩০ বছর ধরে চলা কর ফাঁকির মামলার।
ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে থাকা অবস্থায় ম্যারাডোনার বিপক্ষে কর ফাঁকি দেওয়ার মামলা হয়েছিল। ব্যক্তিগত ইমেজ ব্যবহারের জন্য ম্যারাডোনা যে অর্থ নিয়েছিলেন সেখানে তার বিরুদ্ধে ভুয়া কোম্পানি ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নাপোলি ক্লাবে খেলার সময় তিনি এই অর্থ গ্রহণ করেছিলেন।
মামলার অবসান সম্পর্কে ম্যারাডোনার আইনজীবি অ্যাঞ্জোলো পিসানি বলেন, এটা এখন শেষ। এখন আমি নির্ভয়ে বলতে পারি, ম্যারাডোনা কখনো কর ফাঁকি দেননি।
২০১৮ সালের একটা রায় পাল্টে দিয়েছে রোমার আদালত। বুধবার প্রকাশিত সেই নথি দেখার পর রয়টার্স তা প্রকাশ করেছে।
১৯৯০ দশকের শুরুর দিকে ম্যারাডোনার বিপক্ষে কর ফাঁকি মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে তার বিপক্ষে ৩৭ মিলিয়ন ইউরো ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, জরিমানা আদায়ে পরবর্তীতে ইতালি সফরের সময় ম্যারাডোনার বেশ কিছু জিনিসপত্র বাজেয়াপ্তও করা হয়েছিল।
আদালতের রায়ে ম্যারাডোনার আইনজীবি পিসানি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এর ফলে ম্যারাডোনার ভক্তরা সুবিচার পেল। ৩০ বছর ধরে তারা একটা অস্বস্তিতে ছিল। এখন ইমেজ ক্ষুন্ন করার ক্ষতিপূরণ দাবির অধিকার রয়েছে তাদের। আমি আশা করি তারা এই অধিকার আদায়ে কাজ করবে। সন্তানরা তার পিতার স্মরণে এই সুযোগ কাজ লাগাবে।