ইতালির বিশ্বকাপ দুঃস্বপ্ন যেন কাটছেই না!

ইতালির বিশ্বকাপ দুঃস্বপ্ন যেন কাটছেই না!

ইতালির বিশ্বকাপ যাত্রায় নতুন ধাক্কা – দুঃস্বপ্ন শেষ হচ্ছে না

বিশ্বকাপের টিকিটটা ছিল হাতের নাগালেই, শুধু নরওয়ের বিপক্ষে বড় জয়ের কাজটুকু বাকি ছিল ইতালির। কিন্তু সান সিরোতে গতকাল রোববার রাতে যা ঘটল, তা যেন পুরো গল্পটাই উল্টে দিল। প্রতিপক্ষের দাপটে ঘরের মাঠেই ৪-১ গোলের হতভম্ব হার, আর সেই সঙ্গে সরাসরি বিশ্বকাপে যাওয়ার দরজাটাও বন্ধ হয়ে গেল আজ্জুরিদের জন্য। ইতালির বিশ্বকাপ দুঃস্বপ্ন যেন কাটছেই না। সাম্প্রতিক ম্যাচে নতুন ব্যর্থতা সমর্থকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যোগ্যতা অর্জনের লড়াই আবারও জটিল হয়ে উঠেছে।এখন তাদের সামনে বাকি একটাই পথ, প্লে-অফ।

ইতালির বিশ্বকাপ দুঃস্বপ্ন যেন কাটছেই না!

অন্য দিকে নরওয়ের জন্য রাতটি ইতিহাস লিখে রাখার মত । দুর্দান্ত বাছাইপর্ব শেষে ২৮ বছর পর আবারও বিশ্বকাপে ফিরল তারা। শেষবার তারা খেলেছিল ১৯৯৮ সালে। এবার আর্লিং হলান্ড আর আলেক্সান্দার সরলথদের নেতৃত্বে আবারও বিশ্বমঞ্চে দেখাবে নিজেদের ঝলক।

ম্যাচের শুরুটা কিন্তু ছিল ইতালির দখলে। মাত্র ১১ মিনিটেই ফ্রান্সিসকো পিও এসপোসিতোর গোলে এগিয়ে যায় তারা। সেই লিড ধরে রাখে ৬৩ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু এরপর ম্যাচের রং বদলে দিতে বেশি সময় নেয়নি নরওয়ে। প্রথমে সমতা আনেন আন্তোনিও নুসা। তারপর এক মিনিটের ব্যবধানে দুবার ইতালির জাল ভেদ করেন হলান্ড। যোগ করা সময়ে স্ট্রান্ড লারসেন করে বসেন চতুর্থ গোল।

এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই গ্রুপ ‘আই’-এর বাছাইপর্ব শেষ হয়েছে। ৮ ম্যাচের সব কটিতে জিতে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নরওয়ে। সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ইতালি দ্বিতীয়।

ফলে ২০১৮ এবং ২০২২ বিশ্বকাপে না খেলার পর আবারও একই শঙ্কায় আজ্জুরিরা। প্লে-অফেও তাদের স্মৃতি সুখকর নয়। ২০১৮ বিশ্বকাপে ওঠার লড়াইয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ ব্যবধানে সুইডেনের কাছে হেরেছিল তারা। আর ২০২২ বিশ্বকাপের স্বপ্ন ভেঙেছিল উত্তর মেসিডোনিয়ার ১-০ গোলের আঘাতে।

ইতালির এই বিপর্যয় নিয়ে দেশটির বিশ্লেষকরা হতাশ। শীর্ষ ফুটবল সাংবাদিক জেমস হর্নক্যাসল বলেছেন, এখন বিশ্বকাপে আগের তুলনায় বেশি দল অংশ নিচ্ছে, তবুও ইতালি বাদ পড়ার অবস্থায়। তার ভাষায়, ২০১৭ সালে বাদ পড়াকে ‘মহাবিপর্যয়’ বলা হয়েছিল। এবার পরিস্থিতি কোন স্তরে দাঁড়িয়েছে, তা তিনি নিজেও বলতে পারছেন না।

ইতালির কোচ গেনারো গাত্তুসো অবশ্য দায় চাপালেন নিয়মের ওপর। তার মতে, আগে সেরা রানার্সআপ দলগুলো সরাসরি বিশ্বকাপে উঠত। এখন নিয়ম বদলে গেছে, এতে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৯০ এবং ১৯৯৪ সালে আফ্রিকার দুটি দেশ ছিল, পরে তিনটি, আর এখন জায়গা পেয়েছে ৯টি দেশ। দক্ষিণ আমেরিকায় ১০ দলের মধ্যে ৬টি দল সরাসরি যায়, সপ্তম দল প্লে-অফ খেলে ওশেনিয়ার একটি দলের সঙ্গে। এই ব্যবস্থায় যে হতাশা তৈরি হয়, তা স্পষ্ট।

Exit mobile version