ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে শনিবার রাতে এক অঘটন ঘটেছে। যে অঘটনে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে চেলসি। অ্যাওয়ে মাঠের লড়াইয়ে সাবেক চ্যাম্পিয়ন চেলসি ১-৪ গোলে হেরেছে।
চেলসির এই হারকে অবশ্য অঘটনা বলার উপায় থাকছে না। সাবেক চ্যাম্পিয়ন দলটির জন্য যে কোনো দলের কাছে হার এখন অনেকটা নিয়মিত। লিগে এ পর্যন্ত ১৩ ম্যাচ খেলে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি মাত্র চার ম্যাচ জয় পেয়েছে। জয় থেকে হারের সংখ্যাটা বেশি। পাঁচ ম্যাচে হেরেছে তারা।
১৩ ম্যাচ থেকে চেলসির সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। দলটির অবস্থান দশ নম্বরে। পয়েন্ট টেবিলে দলটির অবস্থা যেমন নাজুক তেমনি নাজুক অবস্থা নিয়ম শৃঙ্খলায়। ম্যাচে হলুদ কার্ড তো রয়েছেই, দেখেছে লাল কার্ডও। রিস জেমস ৭৩ মিনিটে লাল কার্ড পান, ফলে প্রায় ১৫ মিনিট একজন কম নিয়ে খেলতে হয়েছে দলটিকে। এ সময় অবশ্য নিউক্যাসল মাত্র এক গোলের দেখা পেয়েছে।
শনিবার জেমস পার্কে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই চেলসির ওপর আক্রমণের ঢেউ বইয়ে দিয়েছিল নিউক্যাসল। খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি নিউক্যাসলকে। ১৩ মিনিটে আলেক্সান্ডার ইশাক গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। ইনজুরি থেকে মাঠে ফিরেই গোলের দেখা পেয়েছেন তিনি। গ্রোয়েন ইনজুরির কারণে গত মাসে বেশ কয়েকটা ম্যাচে অনুপস্থিত ছিলেন ইশাক। ১৭ বছর বয়সী লিউস মিলের চমৎকার পাস থেকে বল ধরে গোলটি করেন ইশাক।
তবে ম্যাচে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিয়েছিল চেলসি। গোল হজমের দশ মিনিটের মধ্যে খেলায় সমতা ফিরিয়ে এনেছিল তারা। রহিম স্টার্লিং করেছিলেন গোলটি। নিউক্যাসলের বিপদ সীমানার ঠিক বাইরে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন রহিম স্টার্লিং। ফ্রি কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি তিনি।
প্রথমার্ধে কোনো দলই আর গোল করতে পারেনি। ৬০ মিনিটে জামাল লাসসেলেস গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। এক মিনিট পরেই আবার গোলের দেখা পায় নিউক্যাসল। জোয়েলিন্টন ব্রাজিলিয়ান তারকা থিয়াগো সিলভার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে রবার্ট সানচেজকে পরাভূত করে ব্যবধান ৩-১ করেন।
কয়েক মিনিট পর চেলসির দূর্দশা আরো বাড়িয়ে দেন রিস জেমস। একই সঙ্গে ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনাও শেষ করে দেন। অবৈধভাবে বাধা দেওয়ায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এ সুযোগ অ্যান্থনি গর্ডন দলের হয়ে চতুর্থ গোল করে জয় নিশ্চিত করেন।