জমে উঠেছে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ। আর সাথে সাথেই ক্রমশ বড়োছে বিগ ম্যাচের উত্তাপ। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে রাত দুইটায় মুখোমুখি হবে চেলসি ও বার্সেলোনা। একই সময়ে আরও কয়েকটি ম্যাচেও লড়াইয়ে নামবে ইউরোপের বড় বড় ক্লাব।
২০১৮ সালে শেষবার দেখা হয়েছিল চেলসি ও বার্সেলোনার। সেই ম্যাচেই চ্যাম্পিয়নস লিগে শততম গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এরপর কেটে গেছে সাত বছর। বদলে গেছে ক্লাব দুটি, বদলেছে ফুটবল বিশ্ব। মেসি এখন যুক্তরাষ্ট্রে, আর দুই দলও গেছে ভাঙাগড়ার ভেতর দিয়ে।
অন্য ম্যাচে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি আতিথ্য দেবে লেভারকুসেনকে। জুভেন্টাস খেলবে বেদোর বিপক্ষে এবং নাপোলির প্রতিপক্ষ কারবাগ। পাশাপাশি মাঠে নামবে ডর্টমুন্ড ও ভিয়ারিয়াল এবং মার্শেই ও নিউক্যাসেল। এর আগে রাত পৌনে বারোটায় আয়াক্সের মাঠে খেলবে বেনফিকা।
এবারের মুখোমুখি লড়াইয়ের পেছনে রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের চাপও। চার ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা আছে এগারো নম্বরে। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে ঠিক পেছনেই চেলসি। নকআউট পর্বের সরাসরি জায়গা পেতে জয় চাই দুই দলেরই।
বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেন, চেলসি বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলোর একটি। তরুণদের নিয়ে তাদের স্কোয়াড শক্তিশালী। চ্যাম্পিয়নস লিগে কেউই সহজ প্রতিপক্ষ নয় এবং আমরা দারুণ একটি ম্যাচের অপেক্ষায়।
চেলসি কোচ এনজো মারেস্কা জানান, বার্সেলোনার পরই আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে। সপ্তাহটি তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বার্সার দলে লেভানডভস্কি, ইয়ামাল ও রাফিনহার মতো ফুটবলার রয়েছে এবং চেলসির দিকেও রয়েছে কয়েকজন গেম চেঞ্জার।
বিগ ম্যাচে কোল পালমারকে পাওয়া যাচ্ছে না চেলসির। গ্রোইনের চোট কাটিয়ে উঠতে লড়ছেন তিনি। তবে স্বস্তির খবর, শঙ্কামুক্ত হয়ে খেলতে প্রস্তুত অধিনায়ক রিস জেমস এবং ফিরছেন ওয়েসলি ফোফানাও।
চোট সমস্যা আছে বার্সেলোনার শিবিরেও। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পেদ্রি এবং কনুইয়ের চোটে গাভি নেই স্কোয়াডে। পিঠের ব্যথায় আরও একটি ম্যাচ বেঞ্চে কাটাতে হবে গোলরক্ষক টের স্টেগানকে। যদিও অসুস্থতা কাটিয়ে ফিরতে প্রস্তুত রাশফোর্ড।
চেলসি ও বার্সেলোনা এখন পর্যন্ত ১৪ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে এবং সমান চারটি করে জয় রয়েছে দুই দলের। তবে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বার্সার সাফল্য নেই প্রায় উনিশ বছর। শেষ চারবারের চেষ্টাতেও ইংলিশদের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি কাতালানরা।
