চ্যাম্পিয়নস লিগে এবার দেখা যাবে চারটি নতুন মুখ। সাইপ্রাসের পাফোস এফসি, নরওয়ের বোডো/গ্লিমট, কাজাখস্তানের কাইরাত আলমাটি এবং বেলজিয়ামের ইউনিয়ন সেইন্ট-জিলোয়া—এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে তারা। মঙ্গলবার রাতে প্লে-অফ শেষে নিশ্চিত হয়েছে চার নবাগত দলের স্বপ্নযাত্রা।
মাত্র এক দশক আগে প্রতিষ্ঠিত পাফোস লিখেছে অনন্য অধ্যায়। সার্বিয়ান জায়ান্ট রেড স্টার বেলগ্রেডের মাঠে শেষ মুহূর্তে ১-১ ড্র করে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জায়গা করে নেয় চ্যাম্পিয়নস লিগে। অন্যদিকে অস্ট্রিয়ার স্টার্ম গ্রাজকে দুই লেগে ৬-২ ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বোডো/গ্লিমট। যদিও দ্বিতীয় লেগে তারা ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল।
২২ জুলাই দ্বিতীয় কোয়ালিফায়িং রাউন্ড থেকে যাত্রা শুরু করেছিল পাফোস। শুরুতে তারা হারায় ম্যাকাবি তেল আবিবকে, এরপর বিদায় করে ইউক্রেনের দিনামো কিয়েভকে। সর্বশেষ রেড স্টারের বিপক্ষে দুই লেগের লড়াইয়ে জয়ী হয়ে জায়গা করে নেয় ইউরোপের সবচেয়ে বড় মঞ্চে। দলে আছেন প্রাক্তন চেলসি ও আর্সেনালের ব্রাজিলিয়ান তারকা ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজও। সাইপ্রাস থেকে এর আগে কেবল অ্যাপোয়েল ও আনোরথসিস ফামাগুস্তা চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলেছে, এবার সেই তালিকায় যোগ হলো পাফোস।
নরওয়ের বোডো/গ্লিমট ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর প্রথম নরওয়েজিয়ান ক্লাব হিসেবে মূলপর্বে জায়গা পেল। আর্কটিক সার্কেলের কাছে ছোট্ট আস্পমিরা স্টেডিয়াম তাদের ঘরের মাঠ, ধারণক্ষমতা মাত্র ৮,২৭০। গত মৌসুমে তারা ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল, যদিও শিরোপাজয়ী টটেনহামের কাছে হেরে থেমে যায় অভিযান।
কাজাখ চ্যাম্পিয়ন কাইরাতও লিখেছে নতুন ইতিহাস। তারা টাইব্রেকারে হারিয়েছে স্কটিশ জায়ান্ট সেল্টিককে, যা ইউরোপের এই মঞ্চে বড় চমক হিসেবে ধরা হচ্ছে। দ্বিতীয় কাজাখ ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নিল তারা। এর আগে ২০১৫-১৬ মৌসুমে আস্তানা প্রথমবারের মতো খেলেছিল ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের আসরে। আলমাটির মাঠে গিয়ে খেলাটা ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর জন্য এবারও কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
বেলজিয়ান প্রো লিগের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন ইউনিয়ন সেইন্ট-জিলোয়াও সরাসরি মূলপর্বে যোগ দিয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবার মোনাকোতে হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্র। প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ড মাঠে গড়াবে ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
