রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। বুধবার রাতে নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় তারা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ২-০ গোলে হারিয়েছে। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ও কোডি গাকপো মূল্যবান গোল দুটি করেন। দীর্ঘ ১৫ বছরে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এটা লিভারপুলের প্রথম জয়।
এ জয়ের ফলে লিভারপুল পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতে জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে। একমাত্র দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছে। পাঁচ খেলায় তাদের পয়েন্ট ১৫, অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৬। ৩৬ দলের এ টুর্নামেন্টে তাদের অবস্থান ২৪তম। ইন্টার মিলান ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বার্সেলোনা ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ১২ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
লিভারপুলের জন্য এক আতঙ্কের নাম হয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ২০০৯ সাল থেকে স্প্যানিশ দলটিকে তারা হারাতে পারেনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বশেষ আট ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে একটিতেও জয় পায়নি তারা। শুধু তাই নয়, দুইবার ফাইনালে উঠার পরও রিয়াল মাদ্রিদের জন্য শিরোপার স্বাদ পায়নি ইংলিশ ক্লাবটি।
অ্যানফিল্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদের জন্য আরো বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারতো। যেমনটা ভয়ঙ্কর হয়েছিলেন ডারউইন নুয়েজ। তিনবার তিনি গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছেন। প্রতিবারই তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবু কোর্তোয়া। প্রতিবারই তিনি নুনেজকে হতাশ করেন।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর লিভারপুল দ্বিতীয়ার্ধে গোল পায়। ৫২ মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাচ অ্যালিস্টার গোল করেন দলকে এগিয়ে নেন। ৭৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন গাকপো।
দুই দলের দুই তারকার জন্য রাতটা ছিল হতাশার। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। একইভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দেন লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ। উভয়েই পেনাল্টি পেয়েও স্কোরশিটে নাম লেখাতে পারেননি। এমবাপ্পের শট লিভারপুলের গোলরক্ষক রুখে দেন। আর সালাহ’র শটে পোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ায়।