জর্ডান রূপকথার ইতি টেনে চ্যাম্পিয়ন কাতার

এশিয়ান কাপ ফুটবল

রূপকথার চূড়ান্ত রূপ দিতে পারলো না জর্ডান। এশিয়ান কাপ ফুটবলে একের পর এক বাধা পার হয়ে ইতিহাস গড়েছিল জর্ডান। প্রথমবারের মতো পৌঁছেছিল ফাইনালে। কিন্তু স্বাগতিক কাতারের কাছে হেরে সর্বোচ্চ সাফল্যের ইতিহাস গড়া হলো না।

শনিবার রাতে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে স্বাগতিক কাতার তাদেরকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছে। জয়ী দলের হয়ে তিনটি গোলই করেন আকরাম আফিফ। তিনটি গোলই তিনি করেন পেনাল্টি থেকে।

এ জয়ের ফলে এশিয়ান কাপে সাফল্যের ইতিহাসে ইরান, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের কাতারে নাম লেখালো কাতার। এই পাঁচটি দেশই শিরোপা অক্ষুন্ন রাখার কীর্তি গড়েছে। এর মধ্যে ইরানের কীর্তিটা সবচেয়ে বড়। টানা তিনবার শিরোপা জয় করেছে তারা।

এশিয়ান কাপ ফুটবলে সবচেয়ে সফল দল জাপান। চারবার শিরোপা জয় করেছে তারা। তারপরই রয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। তিনবার করে এই দুই শিরোপা জয়ের উৎসব করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও কাতার দুইবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে এবারের টুর্নামেন্টের ফেভারিট ছিল কাতার। চ্যাম্পিয়নের মতোই তারা শুরু করেছিল টুর্নামেন্ট। সেভাবে শেষও করেছে। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।

কাতার প্রথম গোল পায় ২২ মিনিটে। আফিফ পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। বিরতির পর ইয়াজান আল নাইমত গোল করে জর্ডানকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন। তার এ গোলে খেলায় দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফেরে। কিন্তু আরো দুই পেনাল্টি জর্ডানকে খেলা থেকে ছিটকে দেয়।

৭৩ ও ৯৫ মিনিটে দুই পেনাল্টি পায় কাতার। গোলের এই সহজ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তা থেকে আরো দুই গোল করেন আফিফ। সে সঙ্গে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। একই সঙ্গে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাবটাও নিজের করে নেন। আট গোল করেছেন তিনি।

Exit mobile version