সেপ্টেম্বর মাসে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ ও এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্বে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সিনিয়র জাতীয় দল যাবে নেপালের কাঠমান্ডুতে, অন্যদিকে অনূর্ধ্ব-২৩ দল অংশ নেবে ভিয়েতনামে আয়োজিত বাছাই পর্বে। দুটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ম্যাচ একসঙ্গে পড়ায় এবারই প্রথম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) গঠন করেছে দুইটি আলাদা উপ-কমিটি।
১ আগস্ট বাফুফের সংশ্লিষ্টরা দু’টি উপ-কমিটির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক চিঠি পেয়েছেন। যদিও ওই চিঠিতে তারিখ ছিল ৩০ জুলাই। চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, “জাতীয় দলের ক্যাম্প ১৩ আগস্ট ঢাকায় শুরু হবে।” একই সঙ্গে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্যাম্প ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
জাতীয় দলের উপ-কমিটিতে রয়েছেন আমিরুল ইসলাম বাবু, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ ও মুকিতুর রহমান। অপরদিকে, অনূর্ধ্ব-২৩ দলের জন্য মনোনীত হয়েছেন ইকবাল হোসেন, ছাইদ হাসান কানন ও শাহাদাত হোসেন। উভয় কমিটির চিঠিতে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানের যৌথ স্বাক্ষর রয়েছে।
এই প্রথমবারের মতো জাতীয় দল সংক্রান্ত বিষয়ে এমন দ্বৈত কমিটি গঠন করল বাফুফে। জানানো হয়েছে, “২২ জুলাই অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”
দুই কমিটির কাজ শুধু দল পর্যবেক্ষণেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। তাদেরকে স্পন্সর সংগ্রহেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাধারণত মার্কেটিং কমিটির অধীনে থাকে এই কাজ, তবে এবার জাতীয় দল উপ-কমিটিকে দেওয়া হয়েছে সেই দায়িত্ব। জাতীয় দলের স্পন্সর ইউসিবি ব্যাংক থাকলেও, নতুন চুক্তি বা বর্ধিত পৃষ্ঠপোষকতা আনতে হবে কমিটিকেই।
বর্তমানে বাফুফের জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়াল এবং ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির সদস্য সংখ্যা হওয়া উচিত ৯ জন—একজন চেয়ারম্যান, একজন ডেপুটি ও সাতজন সদস্য। তবে বাস্তবে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে। সাখওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীনকে অব্যাহতি দেওয়ার পর এ সংখ্যাটি হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই মুহূর্তে বাফুফে একাধিক দিক থেকে কাজ করছে দেশের ফুটবলে মানোন্নয়নের লক্ষ্যে। জাতীয় ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলের জন্য পৃথক কমিটি গঠনের এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে দল পরিচালনায় পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা বাড়াবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরুর তারিখ ১৩ আগস্ট নির্ধারিত হলেও, কোন কোচিং স্টাফ, স্কোয়াড বা প্রস্তুতি সূচি দেওয়া হয়নি এখনো।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















