২০২২ বিশ্বকাপ জয়ে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি যে জার্সিগুলো ব্যবহার করেছিলেন নিলামে তা বিক্রি হয়ে গেছে। গত বৃহষ্পতিবার অনুষ্ঠিত নিলামে ৭৮ লাখ ডলারে মেসির ব্যবহৃত ছয়টি জার্সি বিক্রি হয়েছে।
প্রত্যাশা করা হয়েছিল বিশ্বকাপে মেসির ব্যবহৃত এই জার্সিগুলো নিলামে সর্বকালের রেকর্ড মূল্যে বিক্রি হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। মেসির জার্সির মূল্য টপকাতে পারেনি মাইকেল জর্ডানের জার্সির মূল্যকে।
১৯৯৮ সালে এনবিএ ফাইনাল ম্যাচে জর্ডান যে জার্সি ব্যবহার করেছিলেন তা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নিলামে বিক্রি হয়। এক কোটি দশ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল জর্ডানের জার্সি। অথচ মেসির ছয় জার্সি থেকে এসেছে ৭৮ লাখ ডলার।
মেসির জার্সির মূল্য দেশটির সাবেক অধিনায়ক দিয়াগো ম্যারাডোনার জার্সির মূল্যকেও টপকাতে পারেনি। ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ জার্সিটি গত বছর নিলামে বিক্রি হয়। এই জার্সিটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
তবে মেসির জার্সির মূল্য এ বছরের স্পোর্টস বিষয়ক যে কোনো নিলামকে টপকে গেছে। শুধু তাই নয়, মেসি নিজের রেকর্ডও টপকে গেছেন।
গত বছর ২০১৭ সালে এল ক্ল্যাসিকোতে ব্যবহৃত একটি জার্সি নিলামে তোলা হয়েছিল। গত বছরের মে মাসে সে জার্সিটি চার লাখ ৫০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলে ফাইনালসহ মেসি সাতটি ম্যাচ খেলেন। নিলামে ফাইনালসহ ছয়টি জার্সি তোলা হয়। গ্রুপ পর্বের একটি জার্সি নিলামে তোলা হয়নি।
জার্সিগুলো নিলামে তোলার ব্যাপারে গত ২০ নভেম্বর বেশ নাটকীয় ঢঙে মেসি বলেছিলেন, “বিশ্বকাপের ছয়টি জার্সি। একটি নিলাম। আমার বন্ধু কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের জার্সিসহ ছয়টি জার্সি নিলামে তুলছে। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিলামে আপনার মূল্য জানান।”
নিলাম থেকে প্রাপ্য অর্থের একটি অংশ ইউনিকাস প্রজেক্টে দান করা হবে। এটি বার্সেলোনার একটি শিশু হাসপাতাল। এ হাসপাতালে বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুদের জন্য কাজ করে থাকে।’