চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে কাঁদিয়ে আবারও শিরোপা জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। শনিবার রাতে লন্ডনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জমজমাট ফাইনালে ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারায় রিয়াল মাদ্রিদ। দারুণ জয়ে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসরে এটি রেকর্ড ১৫তম শিরোপা।
অবশ্য, হাইভোল্টেজ ফাইনালে পরিষ্কার ফেভারিট ছিলো কার্লো আনচেলেত্তির দল। আসরের শুরু থেকে দারুণ রোমাঞ্চকর ফুটবল খেলে ফাইনালে আসা ডর্টমুন্ড লড়তে থাকে সমান তালে। ম্যাচের প্রথমার্ধে সুযোগ তারাই বেশি তৈরি করে। কিন্তু সবগুলো সুযোগ ভেস্তে যায়। ১৪ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ডর্টমুন্ড।
পরের কয়েক মিনিটে প্রবল স্নায়ুচাপে থাকে রিয়াল। ম্যাচের ২১ মিনিটে ম্যাট হামেলসের কাছ থেকে বল পেয়ে ছুটে যান করিম আদেয়েমি। কর্তোয়াকে কাটিয়েও বল জালে ঢুকাতে পারেননি। গোলমুখে তাকে আটকে দেন কারভাহাল। এর তিন মিনিট পর ফের সুর্বন সুযোগ হাতছাড়া করে জার্মানির ক্লাব। এবার নিশ্চিত গোল হজমের হাত থেকে বেঁচে যায় রিয়াল।
ডর্টমুন্ডের তুমুল আক্রমণের স্রোতে ৩০ মিনিটে গিয়ে প্রথম কর্নারের দেখা পায় রিয়াল মাদ্রিদ। যদিও কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। উল্টো প্রতি আক্রমণে যায় ডর্টমুন্ড। ৪১ মিনিটে আবার সুযোগ পেয়েছিল ডর্টমুন্ড।
খেলার বিরতির পরই শুরু হয় রিয়ালের পাল্টা আক্রমণ। এবার একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে রিয়াল। ৪৭ মিনিটে আক্রমণে যাওয়া ভিনিসিয়ুসকে ফেলে দেন হামেলস। রিয়ালের সেই ফ্রি-কিক ডর্টমুন্ডের গোলরক্ষক আটকে দেন। এরপর তুমুল আক্রমনে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত।
ক্রুসের নেওয়া কর্নার কিক থেকে দুর্দান্ত হেডে রিয়ালকে ১-০তে এগিয়ে দেন কারভাহাল। তিন মিনিট পর বেলিংহাম আরেকটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। শেষ দিকে একের এক আক্রমণে বন্যায় দিশেহারা ডর্টমুন্ড পথ হারায়। খেলার ৮৩ মিনিটে আর আটকানো যায়নি ভিনিসিয়ুসকে।
ডর্টমুন্ডের রক্ষণের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে সহজেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ২-০ গোলে এগিয়ে গেলে ম্যাচের ফলাফল অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। দুই গোলের লিড পাওয়ার পর অবশ্য ক্রুসকে তুলে নেন আনচেলেত্তি। শেষ কয়েক মিনিট অল্প বিস্তর চেষ্টা চালিয়ে কান্নায় হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়ে ডর্টমুন্ড।
