শেষ মুহুর্তে গোল খেয়ে ড্র করার পর মাঠে প্রবেশ করে রেফারি মুখে ঘুষি চালিয়ে দিলেন তুরস্কের শীর্ষ লিগের ক্লাব আঙ্কারাগুচু ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ফারুক কোকা। মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন রেফারি হালিল উমুত মেলার। এরপরও চলল লাথি।
এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সব ধরনের লিগের খেলা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ফুটবল ফেডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেই জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন।
সোমবার সুপার লিগে রিজেসপর ক্লাবের বিপক্ষে হোম ম্যাচে ফারুক কোকা এ ঘটনা ঘটান। এ ঘটনায় তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ) স্থানীয় সব ধরণের লিগ খেলা স্থগিত ঘোষণা করেছে।
সোমবার নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে জয়ের পথে ছিল আঙ্কারাগুচু। কিন্তু ৯৭ মিনিটে রিজেসপর খেলায় সমতা আনে। খেলার শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে ফারুক কোকা মাঠে ঢুকে রেফারিকে সরাসরি ঘুষি মারেন। এতে রেফারি মাটিতে পড়ে যান। এ সময় তার ওপর আরও আঘাত করা হয়।
তবে পড়ে যাওয়ার পরও রেফারিকে কারা আঘাত করেছে তা এখনো চিহ্নিত করতে পারেনি ফেডারেশন। কোকা যখন মাঠে ঢুকেছিলেন তখন আঙ্কারাগুচুর অনেক সমর্থকও মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন।
ঘটনার পর টুইটারে ফুটবল ফেডারেশন জানায়, অনির্ধারিত সময়ের জন্য তুরস্কের ঘরোয়া ফুটবলে সব ধরণের ম্যাচ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। একইসাথে রেফারির ওপর আক্রমণের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্লাব, ক্লাব চেয়ারম্যান, ক্লাব কর্মকর্তা ও অন্য যারা জড়িত তাদের সবাইকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ফুটবল ফেডারেশন শুধু শাস্তির ঘোষণাতে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেনি। এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া টুইটার পোস্টে, দুইজনকে আটকের কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে কোকার বিপক্ষে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কথাও জানিয়েছেন।
তুরস্কে রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। ক্লাব প্রেসিডেন্ট এবং কোচ প্রায় রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা করে থাকেন। সমালোচনাতেই তারা নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেন। তবে রেফারির ওপর আক্রমণ বিরল ঘটনা।