একই রাতে মুদ্রার উভয় পিঠ দেখলেন বায়ার্ন মিউনিখের লুইস দিয়াজ। করলেন জোড়া গোল, উড়লের আকাশে, তারপর লাল কার্ডে বহিষ্কার। ফলে দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় একজন কম নিয়ে খেলতে হলো বায়ার্ন মিউনিখকে। তারপরও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের বিপক্ষে জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। ২-১ গোলে জয় পেয়েছে প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের ম্যাচে।
এ জয়ের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শতভাগ জয় ধরে রাখলো বায়ার্ন মিউনিখ। চার ম্যাচের চার জয় শীর্ষে তারা।
পার্ক দ্য প্রিসেন্সে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের শুরুটা ছিল অসাধারণ। দুই দলের সমর্থকরা ঠিক মতো আসনে বসতে না বসতেই গ্যালারীতে বিপরীত চিত্র। বায়ার্নের সমর্থকদের উল্লাস, আর পিএসজি সমর্থকরা হতভম্ব। কেননা জাল থেকে বল কুড়িয়ে আনতে হচ্ছে পিএসজির গোলরক্ষককে। চতুর্থ মিনিটেই সার্জে ন্যাবরির পাস থেকে বল মাইকেল ওলিসে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন। কিন্তু তার শট রুখে দেন লুকাস চেভালিয়ের। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। দিয়াজ বল জালে পাঠিয়ে দেন।
দিয়াজের এ গোল যেন বায়ার্নের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। আক্রমণের ধারও বাড়তে থাক। তারই সুফল তারা পেয়ে যায় ৩২ মিনিটে। লুইস দিয়াজ আবার গোল করেন। বায়ার্নের আক্রমণের ধার এতটাই বেশি ছিল যে, বিরতির আগেই তারা আরো গোল পেলে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। তবে ঘটেছে উল্টো ঘটনা। দিয়াজ লাল কার্ড দেখে বহিষ্কার হন। আচরাফ হাকিমিকে ফাউল করার অপরাধে রেফারি প্রথমে হলুদ কার্ড দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে অপরাধ বিবেচনা তা লাল কার্ডে পরিণত করেন।
একজন কম নিয়ে খেলায় দ্বিতীয়ার্ধে বায়ার্নের আক্রমণের ধার যেমন কমে যায়, তেমনি খেলার গতিও কমে যায়। আর সে ফাঁকে পিএসজি খেলায় কিছুটা হলেও ফিরে আসে এবং ৭৪ মিনিটে হোয়াও নেভেসের গোলে ব্যবধান কমায়। লি ক্যাং ইনের ক্রস থেকে হেড করে গোল করেন তিনি। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে আরোও একটা সুযোগ পেয়েীছলেন নেভেস, তবে এবারের লক্ষ্যচু্যত হয় তার হেড।
