মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা ত্রিশ থেকে কমে দুয়ে এসেছিল। তাদের মধ্যে যে কারো হাতে উঠবে এবারের ব্যালন ডি অর।অতিথির আসনে বসে কেউ ভাবছেন ওসমানে দেম্বেলের নাম ঘোষণা হবে। আবার কেউ কেউ বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামালের নাম শোনার জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছেন। অবাক করার বিষয় মঞ্চ থেকে উচ্চারিত হওয়ার আগেই ওসমানে, ওসমানে রব উঠেছিল। সেখানে নিশ্চিতভাবে চুপ ছিলেন ইয়ামাল। শেষ পর্যন্ত তাকে চুপই থাকতে হয়েছে। দেম্বেলের সাফল্যে দিতে হয়েছে হাততালি।
গত মৌসুমে প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের দেম্বেলে ৫৩ ম্যাচে করেছেন ৩৫ গোল। ১৬ গোলের রূপকার ছিলেন। পিএসজিকে ঐতিহাসিক ট্রেবল এনে দেওয়ার পথে পালন করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মেসি, নেইমার, এমবাপ্পেকে নিয়ে দল সাজিয়ে যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের জন্য মাথা কুটে মরেছে পিএসজি সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা। সেখানে করেছেন আট গোল। লিগ জয়েও একের পর এক গোল করেছেন। হয়েছেন যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা। মঞ্চ থেকে তার নাম ভেসে আসার আগেই যেন ফ্রেঞ্চবাসী জানতো এবার কে পেতে যাচ্ছে ব্যালন ডি অর।
দেম্বেলের মতো ইয়ামালও গত মৌসুমে তিন শিরোপা জয় করেছেন। লা লিগা জয়ের পাশাপাশি জয় করেছেন কোপা দেল আর সুপার কোপা। ২১ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে বর্ষসেরা হিসেবে কোপা ট্রফি নিয়ে ফেরার সময় সাবেক তারকা রুদ খুলিত তাঁকে বললেন, সম্ভবত আমাদের আবার দেখা হচ্ছে।
ব্যালন ডি অর ফুটবল খেলোয়াড়দের একটা স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণ হতেই কেঁদে ফেললেন দেম্বেলে। নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে বললেন, আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অর্জন। পিএসজিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ২০২৩ সালে আমাকে দলে নেওয়ার জন্য ক্লাবকে ধন্যবাদ। সতীর্থর গত বছরের মতো এ বছরও অসাধারণ। এটা ব্যক্তিগত ট্রফি নয়, আমাদের সবার জন্য।
দেম্বেলে বার্সেলোনায় ছিলেন ছয় বছর। খেলার চেয়ে চোটের কারণে বেশি শিরোনাম হয়েছেন। তবে কোচ লুইস এনরিকের ছোঁয়ায় সেই দেম্বেলে এখন জিতেছেন ব্যালন ডি অর। রেমন্ড কোপা, মিশেল প্লাতিনি, জ্যাঁ পিয়েরে পাঁপা, জিনেদিন জিদান আর করিম বেনজামার পর ষষ্ঠ ফরাসি হিসেবে জয় করেছেন ব্যালন ডি অর।
এদিকে মেয়েদের ব্যালন ডি অর জয় করেছেন বার্সেলোনার আইতানা বোনমাতি। টানা তৃতীয়বারের মতো তিনি এটি জয় করেছেন। বোনমাতির মতো আর কেউ তিনবার ব্যালন ডি অর জয় করতে পারেনি।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















