দেড়ঘন্টার বেশি সময় খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে ছিলো বাংলাদেশ দল। অন্যদিকে মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে চলে যাওয়া ভারতীয় দল স্টেডিয়াম ছেড়ে যেতে চাচ্ছে এমন গুঞ্জনও তৈরি হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত উভয় দলের অধিনায়কের হাতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা তুলে দেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন।
ঘটনার পুরো দায় শ্রীলঙ্কান ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়াসূরিয়া ডিলানের। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর উভয় দলই ১১ পেনাল্টি শটের সবগুলোতেই গোল পাওয়ায় ১২তম শট নেয়ার জন্য নির্ধারতিস্থানে বলও বসিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার।
রেফারি রাই অঞ্জনাও বাশি হাতে তৈরি কিন্তু বাধ সাধেন ম্যাচ কমিশনার। তিনি উভয় দলের অধিনায়ককে ডেকে নিয়ে বলেন, ‘তুমি লাল প্রান্ত, তুমি সবুজ প্রান্ত’ এর পর টস করে ভারতীয় দলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
বেকে বসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার ভাষ্য, ‘রেফারি আমাকে জানানও নি কেন তিনি টস করছেন। নিয়ম অনুযায় তিনি জানাবেন, কেন তিনি টস করবেন। আমরা এই ফল মানি না। তাই দলের অন্যদের নিয়ে মাঠের একদিকে দাঁড়িয়ে ছিলাম’।
কমিশনার ভুল বুঝতে পেরে, নিজের অজ্ঞতা প্রকাশ করে পেনাল্টি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিলে ভারতীয় দল তা মানেনি। দলবল নিয়ে তারা ড্রেসিংরুমে চলে যায়। এমনকি মাঠও ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা।
প্রশ্ন উঠেছে, ‘এমন একটা টুর্নামেন্টে এমন ঘটনা কিভাবে হলো’? একজন ম্যাচ কমিশনার কেন ‘বাইলজ’ না জেনে শিরোপা নির্ধারণী গুরুত্বপূর্ণ একটা সিদ্ধান্ত কিভাবে নিলেন?
তার নেয়া ভুলের খেসারত দিতে হলো বয়সভিত্তিক ফুটবলারদের। যেখানে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট হওয়ায় নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের ফল না আসলে টাইব্রেকার আয়োজন করা হয়। সেখানে ভারতীয় দল মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পর দেড় ঘন্টার বেশি সময় কুয়াশার নীচে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আফঈদা ও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পক্ষে চার গোল করা সাগরিকা জানিয়েছে, তাদের প্রত্যাশা ছিলো (এককভাবে) শিরোপা জয়ের। দেশবাসিকে একটা শিরোপা উপহার দিতে চেয়েছিলেন তারা। হয়তো এভাবেই আল্লাহ চেয়েছেন।