নিজেদের মাঠে জিরোনার কাছে বিধ্বস্ত বার্সেলোনা

একদিন আগেই বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ বলেছিলেন, এবার লা লিগা শিরোপা জিততে পারে জিরোনা। এ কথা বলে হয়তো জিরোনার হৃদয়কে নরম করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মাঠে নেমে জিরোনা যে এতটা নির্দয় আচরণ করবে তা হয়তো কল্পনাতেই আনতে পারেননি জাভি। নিজেদের মাঠেই জিরোনার কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে বার্সেলোনা। কাতালান ক্লাবটির বিপক্ষে ৪-২ গোলে জয় পেয়েছে ক্লাব ইতিহাসে সিংহভাগ সময় দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বিভাগে খেলা দল জিরোনা।

ম্যাচটা যে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার জন্য সহজ হবে না তা ম্যাচের শুরু থেকেই বুঝিয়ে দিয়েছিল গত মৌসুমে দশম হওয়া জিরোনা। দ্বাদশ মিনিটে আর্তেম ডোভাইকের গোল বার্সেলোনাকে চমকে দেয়। লা লিগার অভিষেক মৌসুমে এটা তার অষ্টম গোল। অবশ্য এই ব্যবধানটা বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি জিরোনা। সাত মিনিট পরেই রবার্ট লেভানদোভস্কি কর্নার থেকে পাওয়া বলে হেড করে খেলায় সমতা ফেরান। গত এক মাসে এটা ছিল পোলিশ স্ট্রাইকারের প্রথম গোল।

বিরতির আগেই জিরোনা আবার এগিয়ে যায়। ৪০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান মিগুয়েল গুতিরেজ। ২-১ ব্যবধানে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। ম্যাচের শেষ মিনিট অনেকটা পাগলাটে খেলা হয়েছে। হয়েছে তিন গোল। অবশ্য বার্সেলোনার এক গোলের বিপরীতে দুই গোল করেছে জিরোনা। ফলে ৪-২ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অতিথি ক্লাবটি।

ভ্যালেরি ফার্নান্দেজ ৮০ মিনিট জিরোনার হয়ে তৃতীয় গোল করেন। ইনজুরির সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ইলকে গুনদোগান ব্যবধান কমালেও ক্রিস্টিয়ান স্তুয়ানি শেষ বাঁশি বাজার আগে জিরোনাকে আবার গোল উৎসব করার সুযোগ করে দেন।

এ ম্যাচে জয়ের ফলে অ্যাওয়ে ম্যাচে অপরাজিত থাকার কীর্তিটা ধরে রেখেছে জিরোনা। এ মৌসুমে এ পর্যন্ত একটা মাত্র ম্যাচে হেরেছে তারা। নিজেদের মাঠের খেলায় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেছিল দলটি। অন্যদিকে বার্সেলোনার এটি দ্বিতীয় হার। তারাও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেছিল।

এ জয়ের ফলে জিরোনা পরিস্কারভাবে পয়েন্ট টেবিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৬ ম্যাচে শেষে তাদের পয়েন্ট ৪১। সমান ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৩৯। বার্সেলোনার পয়েন্ট ৩৪। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্টও ৩৪। তবে তারা বার্সেলোনার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে।

Exit mobile version