নেপাল-বাংলাদেশ প্রথম প্রীতি ম্যাচ ড্র

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে স্বাগতিক দলের মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে লড়াই সীমাবদ্ধ ছিলো মাঝমাঠে। তেমন পরীক্ষা দিতে হয়নি উভয় দলের গোলরক্ষককেই। ফলাফল, ম্যাচ হয়েছে ড্র। একই মাঠে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

গত ১০ জুন ঢাকা স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পর প্রায় তিন মাস পর আবারও মাঠের খেলায় ফিরলো বাংলাদেশ ফুটবল দল। এই ম্যাচে দলে ছিলেন না ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরী ও কানাডা প্রবাসী শমিত সোম। অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য ফাহামিদুল ও শেখ মোরছালিনও ছিলেন না। দলের সাথে তারা এখন ভিয়েতনামে। সব মিলিয়ে পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে পারেনি হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল।

শুধু তাই নয় ইনজুরির কারণে গোলবারের নীচে ক্যাবরেরার প্রথম পছন্দ মিতুল মারমাকেও পাওয়া যায়নি। সেখানে জায়গা পেয়েছিলেন মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসেন।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের স্টার্টিং লাইন আপ অর্থাৎ শুরুর একাদশে ছিলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ম্যাচের ৯ম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু জামালের ক্রসে তপু বর্মণ হেড নিলেও তা ফিরিয়ে দেন নেপালের গোলরক্ষক কিরন চেমজং।

বাংলাদেশ দলকেও একইভাবে একবার বাঁচিয়ে দেন সুজন। ৩০তম মিনিটে নেপালের অনন্ত তামাং ব্যাক হেড বাংলাদেশের পোস্টে ঢুকে যাওয়ার আগ মুুহুর্তে তা ফিরিয়ে দেন সুজন।

এর ৯ মিনিট পর অর্থাৎ ৩৯তম মিনিটে সুমন রেজা বারের ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন। রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো ইন সরাসরি নেপালের গোলরক্ষ কিরন চেমজং ঠেকিয়ে দিলেও পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেন নি। বল পান সুমন রেজা। কিন্তু বারের ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন তিনি।

প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে আর কম আক্রমণ হয়েছে। ৭৬তম মিনিটে বদলি নামা তাজ উদ্দিন বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও সরাসরি নেপালের গোলরক্ষকের হাতে চলে যায়। ফলে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় দুই দলের প্রথম প্রীতি ম্যাচটি।

এই নিয়ে নেপালের বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচে জয়হীন থাকলো বাংলাদেশ। এর মধ্যে চারটি ম্যাচ হয়েছে ড্র। অন্য দুই ম্যাচে হেরেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

Exit mobile version