বাংলাদেশের ফুটবলের ভিত্তি বলা হয় পাইওনিয়ার লিগকে। কিন্তু ২০২২ সালের পর থেকে আর আয়োজন হয়নি এই বয়সভিত্তিক লিগের। ফলে হতাশ ক্লাবগুলো ও ক্ষুদে ফুটবলাররা বুধবার বিকেলে বাফুফে ভবনের সামনে আয়োজনে করে প্রতিবাদ সমাবেশ।
ব্যানার-ফেস্টুন হাতে ফুটবলাররা স্লোগান তোলে— ‘পাইওনিয়ার লিগ বন্ধ কেন বাফুফে জবাব চাই’, ‘আমাদের বয়স বাড়ছে, আমরা কি পাইওনিয়ার খেলতে পারব?’
আন্দোলনে অংশ নেয় প্রায় এক ডজন ক্লাব। তাদের দাবি, শুধু লিগ আয়োজন নয়, পাইওনিয়ারের সেমিফাইনালিস্ট চার দলকে বাফুফের ভোটাধিকারও দিতে হবে।
প্রভাতী ফুটবল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম বলেন, ‘খেলোয়াড়রা আমাদের প্রতিনিয়ত জিজ্ঞেস করে। আমরা কিছু বলতে পারি না, তাদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হচ্ছে।’
পাইওনিয়ারে নিবন্ধিত ৮০টি ক্লাব রয়েছে। বয়স যাচাইসহ আয়োজন করতে কমপক্ষে দুই মাস সময় দরকার বলেও মত দিয়েছেন লাইজু ফুটবল একাডেমির সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘একদিনে একটি ক্লাবের যাচাই করলেও ৮০ দিনের দরকার। এখনই কাজ শুরু করতে হবে।’
বর্তমান কমিটির চেয়ারম্যান টিপু সুলতান দেশে না থাকলেও জানান, ‘আমাদের কমিটি এখনও পূর্ণাঙ্গ হয়নি। তবে কাজ চলমান রয়েছে। আমরা ভেন্যু নির্ধারণ করেছি এবং সিটি করপোরেশনকে পৃষ্ঠপোষকতার জন্য চিঠিও দিয়েছি।’
পাইওনিয়ার লিগ নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অবহেলা থাকলেও অনেকেই প্রশংসা করেন বিজন বড়ুয়ার সময়ের ধারাবাহিক আয়োজনের, ‘বিজন দা যখন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তখন প্রতি বছরই খেলা হয়েছে।’
