পারলো না বাংলাদেশ, শেষ পর্যন্ত হোয়াইটওয়াশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে চার চারটি হাফ সেঞ্চুরিতে দারুণ একটা স্কোর দাঁড় করেছিল বাংলাদেশ। ৫ উইকেট হারিয়ে করেছিল ৩২১। তারপরও বাংলাদেশ শেষ হাসি হাসতে পারেনি। এড়াতে পারেনি হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। গতকাল তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪ উইকেটে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। সেন্ট কিটসে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৪৫.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনশ’র বেশি রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি গড়েছে।

প্রতিপক্ষকে বিশাল রানের টার্গেট দিয়ে বল হাতে দারুণ শুরু ছিল বাংলাদেশের। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩১ রানে ৩ উইকেট হারাতে বাধ্য করেছিল। এক পর্যায়ে তাদের রান ছিল ৪ উইকেটে ৮৬। তারপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। যে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন কিচি কার্টি ও অভিষেক হওয়া আমির জাঙ্গু। দুই ব্যাটার বাংলাদেশের বোলারদের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চালিয়েছেন। ১৩২ রানের জুটি গড়তে তারা। কার্টি ৯৫ রান করেন। আর জাঙ্গু ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন। গত ৪৬ বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ব্যাটার হিসেবে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছেন তিনি।

৮৩ বলে ১০৪ রানে অপরাজিত থাকা জাঙ্গু এই ইনিংসটা খেলতে ছয়টি বাউন্ডারির পাশাপাশি চারটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছিলেন। ম্যাচ শেষের সময় তাদের সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন গুদাকেশ মোতি। ৩১ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। তিনটি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

দুই ইনিংস মিলে রান হয়েছে ৬৪৬। ওয়েস্ট ইডিজ ও বাংলাদেশের মধ্যেকার ম্যাচে এটাই সর্বোচ্চ মোট রান।

দুর্ভাগ্য মাহমুদউল্লাহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। কিন্তু শেষ হাসি হাসতে পারলেন না। ৬৩ বলে অপরাজিত ৮৪ রান করেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে জাকের আলীর সঙ্গে ১৫০ রানের জুটি গড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের এটা সর্বোচ্চ রান। এর আগে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে তার করা ১২৮ রান ছিল ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি।

মাহমুদউল্লাহ ৮৪ রান করতে সাতটি বাউন্ডারি ও চারটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন। এই চার ওভার বাউন্ডারিতে তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ছক্কার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৭টি। এর মাঝ দিয়ে তিনি পেছনে ফেললেন তামিম ইকবালকে। এতদিন ১০৩ ছক্কা নিয়ে তিনি ছিলেন সবার উপরে।

জাকের আলীকে সঙ্গী করে অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ১৫০ রানের জুটি তাদের। জাকের আলী ৫৭ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন। পাঁচটি বাউন্ডারির পাশাপাশি দুইটি ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে।

এর আগে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল খুব অস্বস্তিকর। ৯ রানে বিদায় নিয়েছিলেন তানজিদ হাসান (০) ও লিটন দাস (০)। তারপরেই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প বাংলাদেশের। সৌম্য সরকারের ৭৩ ও মেহেদি হাসান মিরাজের ৭৭ রানের সুবাদে ১৩৬ রানের জুটি পায় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে এমন এক জুটির পর ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলীর দর্শনীয় ব্যাটিং। ম্যাচে এ সবই ছিল বাংলাদেশের পাওয়া।

Exit mobile version