পারলো না বার্সেলোনা। পারলো না প্রতিশোধ নিতে। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল স্প্যানিশ ক্লাবটি। সেই ধাক্কা হয়তো এখনো তারা সামলে উঠতে পারেনি। গত রাতে প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও হেরেছে বার্সেলোনা। নিজেদের মাঠের খেলায় ১-২ ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলোনা।
১৯ মিনিটে ফেরান টরেসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। ৩৮ মিনিটে মায়ুলুর গোলে সমতায় ফেরে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। খেলা যখন ১-১ গোলে সমতায় শেষ হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে, উভয় দল এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখনই বার্সেলোনাকে শূন্য হাতে মাঠ ছাড়ার ব্যবস্থা করে পিএসজি। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মূহুর্তে গনসালো রামোস গোল করে পিএসজিকে জয় এনে দেন।
অথচ ম্যাচ শুরুর আগে একটু হলেও পিছিয়ে ছিল সফরকারী পিএসজি। দলটিকে নামী তারকাদের মাঠের বাইরে রেখে খেলতে হয়েছে। ব্যালন ডি অর জয়ী ওসমানে দেম্বেলে, উইঙ্গার খিচা কাভারেস্কাইয়া ও রক্ষণভাগের মূল সৈনিক অধিনায়ক মার্কিনিওস চোটের কারণে বাইরে ছিলেন। ছিলেন না নতুন তারকা দেজিরে দুয়েও।
খেলার শুরুতেই চাপ তৈরি করেছিল বার্সেলোনা। তার ফসলও তারা ঘরে তোলে। মার্কাস রাশফোর্ডোর নিখুঁত পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেন ফেরান তরেস। গোল হজম করে বসে থাকেনি পিএসজি। গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। তার সুফলও পায়। নুনো মুন্দেস দারুণ ড্রিবলিংয়ের কারিকুরিতে তিন ডিফেন্ডারকে পরাভূত করে পাস দেন মায়ুলকে। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। ৮৩তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা লি কাং-ইনের শট পোস্টে লাগে। তবে ৯০তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে আশরাফ হাকিমির ক্রস থেকে বল পেয়ে নিখুঁত শটে গোল করেন রামোস।
দুই ম্যাচে এটি বার্সেলোনার প্রথম হার। এক হারে তারা ১৬ নম্বরে নেমে এসেছে। শীর্ষে রয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। উভয় দলের পয়েন্ট সমান হলেও গোল পার্থক্যে বায়ার্ন রয়েছে উপরে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















