প্রথম ম্যাচে উড়ে গেল পাকিস্তান : সিরিজে এগিয়ে প্রোটিয়ারা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পকিস্তানের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ছিল ভিন্ন আমেজের। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ও সবার মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর ক্যাম্পেইন হিসেবে প্রথমবারের মতো তারা গোলাপি জার্সি পরে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু ম্যাচ শেষে তা মোটেও স্বস্তির হয়নি। বড় ব্যবধানে হারের মাঝ দিয়ে তাদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার দাপটে উড়ে গেল পাকিস্তান । প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫৫ রানে হেরে সিরিজে পিছিয়ে গেল বাবর আজমের দল । ৯ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ১৯৪ রানের জবাবে পাকিস্তান ১৩৯ রানে অল আউট হয়।
শুরুতেই পাকিস্তান ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল। বিশেষ করে প্রোটিয়া ওপেনারদের বিধ্বংসী ব্যাটিং ম্যাচের ফল অনেকটা নিশ্চিত করে দিয়েছিল। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১০ ওভার হওয়ার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা তিন অঙ্কের রান ছুঁয়ে ফেলে। রেজা হেনড্রিকস বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৪০ বলে ৬০ রান করেন। আর ওয়ান ডাউন ব্যাটার টনি ডি জর্জি ১৬ বলে করেন ৩৩ রান। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটিং পাকিস্তানের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ ছিল।
এ ম্যাচটি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমের জন্য মাইলফলক তৈরির ম্যাচ ছিলো। কিন্তু তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ৯ রান করতে পারলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বাধিক রানের মালিক হতে পারতেন। কিন্তু শূন্য রানে আউট হয়েছেন। রোহিত শর্মাকে ছাড়িয়ে যেতে তাকে আরো এক ম্যাচের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। দ্বিতীয় বলেই তিনি কাভারে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন।
বাবরের মতো ব্যর্থ হয়েছে তার দল। তবে মোহাম্মদ নাওয়াজ ছিলেন ব্যর্থদের তালিকার বাইরে। বল হাতে যেমন তেমিন ব্যাট হাতে সাফল্য দেখিয়েছেন। ৩৬ রান করেছেন, উইকেট নিয়েছেন তিনটি। তার থেকে বেশি রান শুধু সায়েম আইয়ুবের। ৩৭ রান করেন তিনি। পাকিস্তানের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল। ৩১ রানের জুটি প্রথম উইকেটে। তারপর শুরু ব্যর্থতা। তার শেষ হার দিয়ে।
শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি হবে দ্বিতীয় ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৯৪/৯ (হেনড্রিকস ৬০, লিন্ডা ৩৬, ডি জর্জি ৩৩, ডি কক ২৩; নেওয়াজ ৩/২৬, আইয়ুব ২/৩১)।
পাকিস্তান: ১৮.১ ওভারে ১৩৯ অলআউট (আইয়ুব ৩৭, নেওয়াজ ৩৬, ফারহান ২৪; বশ ৪/১৪, লিন্ডা ৩/৩১, উইলিয়ামস ২/২১)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৫৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জর্জ লিন্ডা।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ১–০ তে এগিয়ে।
