লিভারপুল তাদের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের অন্যতম খারাপ সময়ের দেখা পেল। শনিবার ব্রেন্টফোর্ডের মাঠে ৩–২ ব্যবধানে হেরেছে দলটি। এই হারের ফলে টানা চতুর্থবারের মতো লিগে হারের মুখ দেখল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়নস লিগে বুধবার আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৫–১ ব্যবধানে উড়িয়ে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলে, মাত্র পাঁচ মিনিটের মাথায় আবারও বিপর্যয়ে পড়ে আরনে স্লটের শিষ্যরা। ম্যাচের শুরুতেই দাঙ্গো ওয়াতারা গোল করে ব্রেন্টফোর্ডকে এগিয়ে নেন। বিরতির ঠিক আগে কেভিন শ্যাডের গোলে ২–০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মিলোস কেরকেজের জোরালো শটে ব্যবধান কমায় লিভারপুল।
দ্বিতীয়ার্ধে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তায় পাওয়া পেনাল্টি থেকে ইগর থিয়াগো গোল করলে ৩–১ এ এগিয়ে যায় ব্রেন্টফোর্ড। এরপর বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেই প্রিমিয়ার লিগে প্রথম গোল করেন মোহাম্মদ সালাহ। ডমিনিক সোবোস্লাইয়ের ক্রসে গোল করে ব্যবধান কমালেও শেষ পর্যন্ত আর সমতা ফেরানো সম্ভব হয়নি।
এই জয়ে ব্রেন্টফোর্ড ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলকে হারাল। অন্যদিকে, লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে মাত্র চতুর্থ চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে টানা চার ম্যাচে হারের স্বাদ পেল। এর আগে লিভারপুলে ২০২০–২১ মৌসুম, ২০২৪–২৫ সালের ম্যানচেস্টার সিটি এবং ২০১৬–১৭ সালের লেস্টার সিটি এমন লজ্জায় পড়েছিল।
মৌসুমের ৯ ম্যাচেই তারা ইতোমধ্যে আগের পুরো মৌসুমের সমান হারের লজ্জায় ডুবেছে। এই হারের পর লিভারপুল নেমে গেছে পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম স্থানে।
ম্যাচে লিভারপুলের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল ব্রেন্টফোর্ডের লং থ্রো ঠেকাতে না পারা। শুরুতেই সেই সুযোগ কাজে লাগায় স্বাগতিকরা। সালাহর প্রথম ভালো সুযোগটি এসেছিল কোডি গাকপোর পাসে, কিন্তু সুযোগটি তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। তবে বিরতির ঠিক আগে ডামসগার্ডের পাসে শ্যাডে গোল করে ব্যবধান বাড়ান। ইনজুরি সময়ের শেষ দিকে কেরকেজ গোল করে লিভারপুলকে আশা জাগালেও তা শেষ পর্যন্ত হতাশায় রূপ নেয়।। দ্বিতীয়ার্ধে ভার্জিল ফান ডাইক ফাউল করলে প্রথমে ফ্রি-কিক দেওয়া হলেও ভিএআরের সহায়তায় তা পেনাল্টিতে রূপ নেয়। ইগর থিয়াগো গোল করে ব্যবধান বাড়ান।
শেষদিকে সালাহর গোল কিছুটা লড়াই ফিরিয়ে আনলেও সমতা ফেরানো সম্ভব হয়নি। শেষ মুহূর্তে ব্রেন্টফোর্ডের রক্ষণভাগ বল ক্লিয়ার করলে তা যেন তাদের জন্য গোলের আনন্দের সমান উদযাপনে পরিণত হয়।
