ইতিহাস গড়ার এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই এর স্প্যানিশ কোচ। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ পাওয়া দলটি ইতোমধ্যেই ঘরোয়া ট্রেবল সম্পন্ন করেছে। সামনে আর মাত্র একটি ম্যাচ, ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল, যেখানে প্রতিপক্ষ ইংলিশ ক্লাব চেলসি।
তবে এই সাফল্যগাঁথা মৌসুমের প্রশংসা নিতে একেবারেই রাজি নন পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে, বরং সোজাসাপ্টা বলে দিলেন, “আমি তখনই বেশি ভালো ছিলাম, যখন হেরেছিলাম।”
ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এনরিকে বলেন, “চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল, সেটা আমরা পেরেছি। তবে সামনে রয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা এটির গুরুত্ব পুরোপুরি বুঝে মাঠে নামব”।
চেলসির প্রশংসা করে এনরিকে বলেন, “এনজো মায়েরেস্কা এমন এক কোচ, যাকে আমি ভালোবাসি। ওর দল বল দখলে খেলতে চায়, প্রচুর চাপ দেয়, আক্রমণাত্মক থাকে। চেলসি এখন অনেক উন্নতি করেছে। তারা কনফারেন্স লিগ জিতেছে, লিগে চতুর্থ হয়েছে। ব্লুজরা কোনোভাবেই সহজ প্রতিপক্ষ নয়।”
ব্যক্তিগত পুরস্কারে আস্থা নেই এনরিকের। জিততে জিততেও নিজের নামের পাশে কোনো রকম ‘তারকা’র তকমা নিতে নারাজ এনরিকে। বরং দলগত পারফরম্যান্সেই তার পুরো বিশ্বাস।
“আমি ব্যক্তি ভিত্তিক পুরস্কারে বিশ্বাস করি না। কোচ হিসেবে তো নয়ই। আমাদের দলে ওসমান ডেম্বেলে দুর্দান্ত খেলেছে, কিন্তু ওর গোল বা অ্যাসিস্ট নয়—সবচেয়ে বড় কথা, ওর অবদানেই দল সব শিরোপা জিতেছে। পুরস্কার হলে সেই প্রেক্ষিতেই হওয়া উচিত।”
তিনি যোগ করেন, “আমি কখনোই তারকা ছিলাম না। না খেলোয়াড় হিসেবে, না কোচ হিসেবে। বরং হারলে সমালোচনার মুখে পড়লে আমি বেশি আনন্দ পাই। কারণ তখন আমি নিজেকে সবচেয়ে বেশি ঠিক প্রমাণ করতে পারি।”
চ্যাম্পিয়ন হলেও ‘সেরা’ তকমা নিতে একপ্রকার অস্বীকৃতি এনরিকের কণ্ঠে। এছাড়াও করেছেন পেপ গার্দিয়ালার বন্দনা। তার কাছে গার্দিওলাই বর্তমানে ফুটবল বিশ্বের সেরা কোচ।
রোববার নিউ জার্সিতে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে পিএসজি ও চেলসি। জিতলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চারটি বড় ট্রফি জিতে মৌসুম শেষ করবে ফরাসি ক্লাবটি।
তবে লুইস এনরিকে জানিয়ে রাখলেন, “আমরা একজন তারকা চাই না। আমরা চাই ১১ জন তারকা, যারা দল হিসেবে খেলবে। সেটাই আমাদের আসল শক্তি।”
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















