আবারও শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছে ভারতীয় ফুটবল। দেশটির ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) কে এবার সরাসরি সতর্ক করেছে ফিফা। সংস্থাটির অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংবিধান সংশোধন ও কার্যকর না হলে এআইএফএফকে কঠোর শাস্তি, এমনকি স্থগিতাদেশের মুখে পড়তে হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এআইএফএফকে পাঠানো এক চিঠিতে ফিফা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে— আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে নতুন সংবিধান অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফিফার চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “সংগঠনকে অবশ্যই স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে এবং কোনোভাবেই তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।”
আগামীকাল (২৮ আগস্ট) ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয় নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ফিফার দাবি, সেদিনই আদালত যেন সংবিধান অনুমোদন করে এবং তা ফিফা ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)-এর নিয়মাবলীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “দীর্ঘসূত্রিতা একটি শাসন ও পরিচালন সংকট তৈরি করেছে। দেশীয় প্রতিযোগিতার ক্যালেন্ডার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে; ২০২৫ সালের পর বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব নিশ্চিত নয়; আর উন্নয়ন, প্রতিযোগিতা ও বিপণন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।” এর ফলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়েছে, বিশেষত ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) খেলোয়াড়রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এআইএফএফ ও ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের (এফএসডিএল) অচলাবস্থার কারণে এখনো ২০২৫-২৬ মৌসুমের আইএসএল সূচি চূড়ান্ত হয়নি। এ কারণে উভয় পক্ষকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফিফার বক্তব্য অনুযায়ী, “শর্ত পূরণ না হলে স্থগিতাদেশসহ কঠোর শাস্তি কার্যকর হতে পারে। এমনকি সংস্থা সরাসরি দায়ী না হলেও, তৃতীয় পক্ষের প্রভাব থাকলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।” এছাড়া ফিফপ্রো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আর্থিক সংকটে পড়ে একাধিক ক্লাব একতরফাভাবে খেলোয়াড়দের চুক্তি বাতিল করছে, যা তাদের জীবন-জীবিকাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।