বাফুফের ২০ কোটি টাকা ব্যয়ের হিসাব চাইল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

২০১৯-২০ অর্থ বছরে ফুটবল উন্নয়নের জন্য বাফুফেকে দেওয়া ২০ কোটি টাকার ব্যয় নিয়ে ফের উঠেছে প্রশ্ন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উঠে আসায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিষয়টি পুনরায় পর্যালোচনায় নিয়েছে।

এ লক্ষ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিবকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া) ইতোমধ্যে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারকে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০ জুলাইয়ের মধ্যে সকল প্রাসঙ্গিক নথিপত্রসহ সহকারী পরিচালকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করতে হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন দায়িত্ব নিয়েছেন ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল, ফিফা থেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর। ফলে তার জন্য এত অল্প সময়ের মধ্যে পুরনো আমলের আর্থিক হিসাব প্রস্তুত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বাফুফের অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন নতুন নয়। ফিফা ইতিপূর্বে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি ২০২৩ সালে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের হয়, যার প্রেক্ষিতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি সরকারের অনুদানের ব্যয় নিয়ে একটি প্রতিবেদনও জমা দেয়।

সব মিলিয়ে বাফুফে আবারও আর্থিক জবাবদিহিতার মুখোমুখি, যা দেশের ক্রীড়া প্রশাসনে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় বড় এক ইঙ্গিত হতে পারে।

Exit mobile version