২০২৬ নারী এশিয়ান কাপকে ঘিরে শুরু হয়েছে উত্তেজনা। আজ ড্রয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রুপ ও ম্যাচসূচি চূড়ান্ত হয়েছে। এবারের আসরটি অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ার তিন শহর—সিডনি, পার্থ ও গোল্ডকোস্টে। ১ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই।
বাংলাদেশ ড্রয়ে পড়েছে ‘বি’ গ্রুপে। প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন, এশিয়ার শক্তিধর দল উত্তর কোরিয়া এবং মাঝারি মানের দল উজবেকিস্তান। ফিফার সর্বশেষ র্যাঙ্কিং অনুযায়ী চার নম্বর পটে থাকা বাংলাদেশকে বি গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে স্থান দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের গ্রুপপর্বের তিনটি ম্যাচ হবে দুই ভিন্ন শহরে। প্রথম দুটি ম্যাচ সিডনির ওয়েস্টার্ন সিডনি স্টেডিয়ামে এবং শেষ ম্যাচ পার্থের র্যাকটেঙ্গুলার স্টেডিয়ামে।
বাংলাদেশের ম্যাচসূচি নিম্নরূপঃ
📅 ৩ মার্চ, ২০২৬: চীন বনাম বাংলাদেশ — সিডনি
📅 ৬ মার্চ, ২০২৬: উত্তর কোরিয়া বনাম বাংলাদেশ — সিডনি
📅 ৯ মার্চ, ২০২৬: বাংলাদেশ বনাম উজবেকিস্তান — পার্থ
টুর্নামেন্টের ফরম্যাট অনুযায়ী, প্রতিটি গ্রুপে রয়েছে চারটি করে দল। দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলবে। গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। তবে সুযোগ থাকবে তৃতীয় স্থানে থাকা দলগুলোর মধ্যেও। তিনটি গ্রুপের মধ্যে সেরা দুই তৃতীয় স্থানের দলও যাবে কোয়ার্টারে।
বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে চীন ও উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ভালো লড়াই করা। বাস্তবতা অনুযায়ী, কোয়ার্টারে ওঠার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে হলে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে জিততেই হবে। তাতে তিন পয়েন্টের সঙ্গে গোল ব্যবধানও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নও জড়িয়ে আছে এই আসরে। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারলে ২০২৭ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপ এবং ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে অংশগ্রহণের পথ খুলে যাবে। কোয়ার্টার ফাইনালের চার বিজয়ী সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে। পরাজিত চার দলের মধ্যে দুটি প্লে-ইন ম্যাচ হবে, সেখান থেকে জয়ী দুই দলও পাবে বিশ্বকাপে সুযোগ। বাকি দুই দলকে খেলতে হবে আন্তঃমহাদেশীয় বাছাইপর্ব।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের জন্য এটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ। কঠিন গ্রুপে পড়লেও প্রতিটি ম্যাচে আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামতে চায় বাংলাদেশ। প্রস্তুতির জন্য বাফুফে আগে থেকেই পরিকল্পনা করছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও ক্যাম্পের।
